Warning: Creating default object from empty value in /home/alokitonarayanga/public_html/wp-content/themes/newsfresh/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
ফতুল্লায় ৩৬ লাখ টাকা নিয়ে উধাও সবুজ-শান্তা দম্পত্তি ফতুল্লায় ৩৬ লাখ টাকা নিয়ে উধাও সবুজ-শান্তা দম্পত্তি – Alokito Narayanganj 24

রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

ফতুল্লায় ৩৬ লাখ টাকা নিয়ে উধাও সবুজ-শান্তা দম্পত্তি

ফতুল্লা প্রতিনিধি: ফতুল্লা থানাধীন দক্ষিণ শিয়াচর এলাকায় মামুন সরদার নামের এক ব্যক্তির নিকট থেকে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও সবুজ-শান্তা দম্পত্তি।
জানা গেছে, কয়েক মাস পূর্বে একই এলাকার সবুজ-শান্তা দম্পত্তি নিজস্ব ১ তলা বিল্ডিংসহ উক্ত সম্পত্তি বন্ধক রাখে ভুক্তভোগী মামুন সরদারের নিকট। এ সময় সবুজ এনআরবিসি ব্যাংকের ০৩টি চেক প্রদান করে মামুনের সহিত। আর সে সময় চুক্তি নামায় উল্লেখ করা হয় যে, মামুনের নিকট হইতে টাকা গ্রহণের ০১ মাসের মধ্যে সমুদয় টাকা লভ্যাংশ সহ ফেরত দিতে হবে। কিন্তু ১ মাসের ও বেশি সময় অতিক্রম হয়ে গেলে। সবুজ-শান্তা দম্পত্তি নানা ব্যক্তিদের যোগসাজসে লিপ্ত হয়ে ভোক্তভোগী মামুনককে দফায় দফায় টাকা পরিশোধের তারিখ দিতে থাকে।
এমতাবস্থায় একই এলাকার আলী ও আসলাম নামের দুই ব্যক্তি সবুজ-শান্তা দম্পত্তিকে নানা বুঝ পরামর্শ দেন। এমনকি সবুজ-শান্তা দম্পত্তিকে ভুক্তভোগী মামুনের পায়নাকৃত টাকা না দেওয়ার পরামর্শ দেন- এই আলী ও আসলাম এমনি অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবুজ ও শান্তা দম্পত্তি এলাকা ছেড়ে উধাও হয়ে গেছে। কোথাও তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, এদিকে সবুজ-শান্তার বসতবাড়ী দখল করে রেখেছে আলী, আসলাম সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী মামুনের দাবি, এই আলী ও আসলাম বাড়ীটি দখলের উদ্দেশ্যে এবং মামুনকে টাকা না দেয়ার ফন্দীতে সবুজ-শান্তা দম্পত্তিকে উধাও করে রেখেছে বা গুম করে রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মামুন সরদার সেখানে উল্লেখ রয়েছে, বিবাদী ১। মোঃ সবুজ (৩৫), আব্দুল গণি বেপারী, মাতা- মোসাঃ মনজু বেগম, ২। সান্তা ইসলাম ৩। শাস্তা আক্তার (৩০), স্বামী-সবুজ, আলী (৪০), পিতা- মৃত মোঃ শহিদুল্লাহ, ৪। মোসাঃ স্বপ্না বেগম (৩৫), স্বামী- মোঃ আলী, ৫। মোঃ আসলাম (৪০), পিতা- অজ্ঞাত, ৬। মোঃ সোহাগ (৪০), পিতা- অজ্ঞাত, গর্ব সাং-দক্ষিণ শিয়াচর, থানা- জেলা নারায়ণগঞ্জদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, ১ ও ২নং বিবাদী আমার পূর্ব পরিচিত। বিবাদীয়ের বর্ণিত ঠিকানার মালিকানাধীন ১তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং সহ ০৫ শতাংশ সম্পত্তির হইতে ৬ বিবাদীদের মাধ্যমে ৩৬,৫০,০০০/- টাকায় বন্ধক রাখার প্রস্তাব করিলে আমি বিল্ডিং সহ উক্ত সম্পত্তি বন্ধক রাখার ইচ্ছা পোষন করত ইং- ০৭/০৫/২০২৩ তারিখ বেলা অনুমান- ১১.০০ ঘটিকার সময় ফতুল্লা থানাধীন শিয়াচর মাঠ নিসিয়াম সার্ভিসিং সেন্টারে বসিয়া সকল বিবাদীদের উপস্থিতিতে ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয়কে নগদ- ৩৬.০০/- টাকা প্রদান করি। ঐ সময় ১ ও ২নং বিবাদী উক্ত ঢাকা বুঝিয়া পাইয়া ৬০০/- টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তি নামা সম্পাদন করে এবং ১নং বিবাদী এনআরবিসি ব্যাংকের ০৩টি চেক প্রদান করে। বিবাদীরা ঐ সময় চুক্তি নামায় উল্লেখ করে যে, আমার নিকট হইতে টাকা গ্রহণের ০১ মাসের মধ্যে আমার সমুদয় টাকা লভ্যাংশ সহ ফেরত প্রদান করিবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমার সমুদয় টাকা ফেরত প্রদান করিতে ব্যর্থ হলে ১ ও ২নং বিবাদীয়ের বর্ণিত বিল্ডিং বাড়ী সহ ০৫ শতাংশ সম্পত্তি আমার অনুকূলে সাফ কবলা দলিল উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে অতিবাহিত হইলে আমি বিবাদীদের নিকট আমার নিকট হইতে গ্রহণকৃত ৩৬.৫০,০০০/- টাকা ফেরত চাহিলে বিবাদীরা পরষ্পর যোগসাজসে ও সহায়তায় বিভিন্ন ছলচাতরীয় আশ্রয় নিয়া আমার পাওমাকৃত টাকা ফেরত প্রদান না করিয়া বিভিন্ন অযুহাত দেখাইয়া কালক্ষেপন ছি এবং চুক্তি নামার শর্ত মোতাবেক ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় তাহাদের বর্ণিত ঠিকানার বিল্ডিং বাড়ী সহ ৫ শতাংশ সম্পত্তি আমার অনুকূলে সাফ কবলা দলিল করিয়া দিতেছে না। আমি একাধিকবার বিবাদীদেরকে তাগাদা দেওয়া স্বত্বেও বিবাদীরা বিভিন্ন সময় দিনক্ষণ দিয়া আমার টাকা ফেরত না দিয়া কালক্ষেপন ও হয়রানী করিয়া আসিতেছে। সর্বশেষ ইং- ১৬/০৮/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান- ১০.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীদের বর্ণিত ঠিকানায় গিয়া আমার নিকট হইতে গ্রহণকৃত ৩৬,৫০,০০০/- টাকা ফেরত চাহিলে বিবাদীরা আমার টাকা ফেরত দিতে এবং বন্ধককৃত সম্পত্তি আমার অনুকূলে সাফ কবলা দলিল করিয়া দিতে অস্বীকার করে। বিবাদীগণ পরষ্পর যোগসাজসে আর্থিক লাভবান হইবার উদ্দেশ্যে প্রতরনা পূর্বক বিশ্বাস ভঙ্গ করতঃ ১ ও ২নং বিবাদীর মালিকানাধীন ০৫ শতাংশ সম্পত্তি আমার নিকট বন্ধক রাখিয়া ৩৬,৫০,০০০/- টাকা গ্রহণ করিয়া অন্যান্য বিবাদীদেও সহায়তায় আমার নিকট হইতে গ্রহণ কৃত টাকা ফেরত না দিয়া আত্মসাৎ করিয়াছে। পরষ্পর খোজ খবর নিয়া জানতে পারি যে, ২ হইতে ৬নং বিবাদী ১নং বিবাদীকে কৌশলে আত্মগোপনে রাখিয়া ৩নং বিবাদী আমার নিকট বন্ধক রাখা বাড়ীতে বসবাস করিতেছে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........


© All rights reserved © 2018 Alokitonarayanganj24.net
Design & Developed by SHAMIR IT
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!