বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন
আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ ফতুল্লায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার ১৭ বছর পর চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষাণা করেন।
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কামরুল, রবিউল, আলী আকবর ও শুক্কুর আলী৷
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবউদ্দিন আহমেদ জানান, যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন রবিউলের মা ডলি বেগম৷ রায় ঘোষণার সময় রবিউল ও তার মা আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন না; দুজনই পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০০৫ সালের ৩ জুন ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর গ্রামের ধইঞ্চাক্ষেত থেকে নিপার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ ওই দিনই নিপার বাবা ফতুল্লার চর রাজাপুর এলাকার রঙমিস্ত্রি আক্তার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
ফতুল্লার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী নিপার বয়স তখন ছিলো ১১ বছর। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ২৬ অগাস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নিপাকে হত্যা করে আসামিরা৷ মামলার দুই আসামি রবিউল ও কামরুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়৷
মামলার বাদী, এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৭ জন সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে ১৭ বছর পর এ মামলার রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় নিহতের বাবা আক্তার হোসেন বলেন, “পাঁচ ছেলেমেয়ের মধ্যে নিপা ছিল বড়৷ আমার বোন মারা যাওয়ায় তার বাড়িতে কুলখানির দাওয়াতে পাঠাইছিলাম৷ পরদিন সকাল থেকে মাইয়া নিখোঁজ ছিল৷ অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ির পাশের ক্ষেত থেইকা মাইয়ার লাশ পাই৷”
“মামলার পিছনে ১৭ বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরছি, আমার জীবনডাই শ্যাষ৷ এত বছর পর রায় হইছে৷ গ্রামের সকলেও চাইছিল আসামিগুলার ফাঁসি হউক৷ এই রায়ে আমি খুশি৷ চাই তাড়াতাড়ি রায় কার্যকর হউক৷
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/alokitonarayanga/public_html/wp-includes/functions.php on line 5609caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/alokitonarayanga/public_html/wp-includes/functions.php on line 5609
আপনার মতামত লিখুন........