Warning: Creating default object from empty value in /home/alokitonarayanga/public_html/wp-content/themes/newsfresh/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
বদলির আদেশ পেয়ে থানার এসি-সোফা-টেলিভিশন খুলে নিলেন ওসি বদলির আদেশ পেয়ে থানার এসি-সোফা-টেলিভিশন খুলে নিলেন ওসি – Alokito Narayanganj 24

রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

বদলির আদেশ পেয়ে থানার এসি-সোফা-টেলিভিশন খুলে নিলেন ওসি

বিশেষ প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলির আদেশ আসার পর তিনি থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়েছেন। থানার সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য যারা পণ্যগুলো উপহার দিয়েছিলেন তাঁরা বিরূপ মন্তব্য করছেন। তবে ওসির দাবি এসব তাঁর নিজের টাকায় কেনা।

শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এক ভ্যানচালকের সহায়তায় থানার জিনিসপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা থেকে ভ্যানে করে ওসির কোয়াটারে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৫১৭০/১ (৪৯)(আরওআই) আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর এই বদলির আদেশের পরের দিন শুক্রবার রাতে থানার এসি, টেলিভিশন, সোফা ও আইপিএস খুলে নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, জিনিসপত্র ব্যক্তিগতভাবে কাউকে দেওয়া হয় না। থানায় যে ওসি আসবেন তিনিই ব্যবহার করবেন, এজন্যই জিনিসপত্রগুলো কেনার টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি এতো নিচু মন-মানসিকতার ওসি সেটা জানা ছিল না।

থানার পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিসপত্রগুলো খুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানে করে ওসির কোয়াটারে রাখা হয়েছে।

নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভপতি জুরান মন্ডল বলেন, থানার সৌন্দর্য্য বর্ধন ও থানার যেই ওসি আসুক তারা যেন সুবিধাটা ভোগ করতে পারে সেজন্য বালু মহালের টাকা দিয়ে জিনিষপত্রগুলো দেওয়া হয়েছিল। কারও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। শুনেছি ওসি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা ঠিক নয়। তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া হয়নি। তাঁর চেয়ারটাকে সম্মান করে দেওয়া হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ওসির টাকায় কেনা জিনিস হলে তো তিনি নিতেই পারেন। এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।

বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যেগুলো থানা থেকে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।

জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কারো অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারেন না। যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয়, তাহলে নিতে পারবেন। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানি না।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........


© All rights reserved © 2018 Alokitonarayanganj24.net
Design & Developed by SHAMIR IT
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!