সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
বন্দর প্রতিনিধি:বন্দর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মো. মেরাজুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। এসময় আল আমিন (২৭) নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) রাতে বন্দরের রূপালী আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেরাজ বন্দরের ছালেহনগড় এলাকার এজাজ মিয়ার ছেলে। আহত আল-আমিন রুপালী আবাসিক এলাকার জাভেদ মিয়ার ছেলে।
এদিকে মেরাজ নিহত হওয়ার খবরে সোমবার রাতে উত্তেজিতরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরসহ বন্দর সালেহনগর এলাকার কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মিয়ার চাচাতো ভাই সোয়েব ও রবিনসহ এলাকার সন্ত্রাসী পিংকি, বাবু, মানিক, রানা ও নাদিমসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রুপালী আবাসিক এলাকার এজাজ মিয়ার ছেলে মেরাজ ও তার বন্ধু আলামিনের উপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিতে হামলায় চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মেরাজ ও আলআমিনকে কুপিয়ে জখম করে হত্যা নিশ্চিত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মেরাজের মৃত্যু হয়।
বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঘটনার পর পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। হতাহতের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন........