আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট নেট : সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম, ওসি (তদন্ত) সেলিম মিয়া, এস, আই সাধন বসাক দত্তপাড়া এলাকা থেকে সাবেক এমপির এপিএস ও যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপনের বাসায় জোড়পূর্বক প্রবেশ করে গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় তাকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, কোন প্রকার গ্রেফতারী প্ররোয়ানা, সমন বা অভিযোগ ছাড়াই সানিফয়েলস এন্ড পলিমার ইন্ড্রাস্ট্রিজের মালিক আল-মোস্তফার কাছ থেকে দেড় কোটি টাকায় সমঝোতা হয়। পরে দেড় কোটি টাকার মধ্যে ৫০ লাখ টাকা নগদ উৎকোচ গ্রহন করে আল-মোস্তফার লাঠিয়াল হয়ে গ্রেফতার করে জাহিদুল ইসলাম স্বপন ও তার ভায়রা আলমগীর ও ভাগীনা বাবুলকে। গ্রেফতারের পর রাতে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের এপিএস ও যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে বেধরক মারধর করেন, পরে চোঁখ বেধে লাঠি দিয়ে মারাত্মক ভাবে পিঠিয়ে আহত করেন অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম ও এসআই (সেকেন্ড অফিসার) সাধন বসাক। এস আই সাধন বসাক ও অফিসার ইনচার্জের মধ্যযুগীয় নির্যাতনে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ও অবস্থা সংকটাপন্ন হলে রাত ৩.৪০ মিনিটে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ভর্তি নং ২৬৪৯/৩।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার হ্যাপী দাস জাহিদুল ইসলাম স্বপনের প্রাথমিক চিকিৎসা করে হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে পুলিশের নাম ও স্বপনকে শারীরিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। এমনকি জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে ক্রসফায়ার, সারা দেশে একশ মামলা ও মাদক মামলা ফাসিয়ে পাগল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিশাল টাকা উৎকোচ দাবি করেন সেকেন্ড অফিসার সাধন বসাক। পরে সোনারগাঁ থানা যুবলীগ নেতাদের মধ্যস্থতায় দুপরে ছাড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। তবে পুলিশের এমন অমানবিক ও বেআইনে কর্মকান্ডে হতবাক হয়েছে সোনারগাঁ থানা যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ। সোনারগাঁ থানা আওয়ামী যুবলীগ ও থানা আওয়ামী লীগ অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম ও সেকেন্ড অফিসার সাধন বসাকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
সাবেক এমপির এপিএস ও যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি করি। আমার পৈত্রিক জমি বিক্রি করে জমিটি ক্রয় করি। আমি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের রায় ও সকল কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও কোন প্রকার অভিযোগ, ওয়ারেন্ট ছাড়া আমাকে গ্রেফতার করে বেধরক ভাবে মারধর করে। বর্তমানে আমি খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি আছি। আমি অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম ও সেকেন্ড অফিসার সাধন বসাকের তদন্তপূর্বক কঠোর শাস্তি চাই।
সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খ জনক ও লজ্জা জনক। আমরা পুলিশের এমন অপেশাদার আচরন আশা করি নি। এমন কাজের বিচার হওয়া দরকার। তবে আমরা সামাজিকভাবে বিষয়টি মিমাংশা করেছি।
সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। স্বপন দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সাথে রাজনীতি করছে। পুলিশ এমন আচরন করতে পারে না। যারা এমন বেআইনি কাজ করেছে যে যেই হোক, যত ক্ষমতাশালী হউক তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম পিপিএমের মোবাইলে ফোন করলেও তিনি তা সংযোগটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ সেলিম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে। কালের কন্ঠ পত্রিকাতেও নিউজ হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। তাছাড়া মামলার বাদী আমি না বাদী হলেন এসআই সাধন বসাক, প্রয়োজনে তার সাথে কথা বলতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন........