আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: রিকশাচালক ইদ্রিস আলী তার দুই মেয়ের সন্ধান পেলেও আদালতের আদেশে তার মেয়েরা নানি আকলিমা বেগমের কাছেই থাকবে। রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এই আদেশ দেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রকিব উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, যেহেতু মেয়েরা তার বাবার কাছে যেতে চাচ্ছে না, তাই আদালত দুই মেয়েকে তাদের নানি আকলিমা বেগমের জিম্মায় দিয়েছেন। তবে ইদ্রিস আলী যে কোনো সময় মেয়েদের সঙ্গে দেখা ও যোগাযোগ করতে পারবেন।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরবী আমান রিয়া বলেন, রিকশাচালক ইদ্রিস আলীর দুই মেয়ে ইতি ও মীম তার বাবার কাছে যাবে না বলে জানিয়েছে। যার কারণে আদালত দুই মেয়েকে মায়ের জিম্মায় দিয়েছে। যেহেতু মা বর্তমানে বিদেশ রয়েছে সে কারণে মেয়েরা তাদের নানির কাছে থাকবে। বাবা ইদ্রিস আলী যে কোনো সময় এসে তার মেয়েদের দেখে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না।
শিশুদের নানি আকলিমা বেগম বলেন, ইদ্রিস আলীর সঙ্গে আমার মেয়ে শাহনাজ বেগমের বিচ্ছেদ হয়েছে। যে কারণে শাহনাজ বেগম তার দুই মেয়েকে নিয়ে আমার কাছে চলে আসে। আমার মেয়ে বর্তমানে সৌদি আরব রয়েছে। ইদ্রিস আলী তার দুই মেয়ের কোনো খোঁজ-খবর রাখেনি। হঠাৎ করে এসে তার দুই মেয়েকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু মেয়েরা তার কাছে যেতে চায় না। কারণ সে মেয়েদের মারধর করে। এখনো যদি মেয়েরা তার বাবার কাছে যেতে চায় তাহলে আমার কোনো আপত্তি থাকবে না।
ইদ্রিস আলী বলেন, তারা আমার দুই মেয়েকে ভুল বুঝিয়েছে। যার কারণে মেয়েরা আমার কাছে আসতে চায় না। আমি আমার মেয়েদের কাছে পেতে চাই। মেয়েদের পড়ালেখা করিয়ে ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে চাই। আমি আমার মেয়েদের নিয়ে যেতে চাই। আমি মেয়েদের ছাড়া থাকতে পারবো না।
এর আগে রিকশাচালকবেশে ইদ্রিস আলী দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা থেকে নারায়ণগঞ্জে এসে অলিগলিতে তার মেয়েদের খোঁজ করছিলেন। সেই সঙ্গে গত ১০ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং শনিবার (১৬ এপ্রিল) ইদ্রিস আলীর দুই মেয়েকে খুঁজে বের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন........