আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন জমিতে দেয়াল নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলা জজ ২য় আদালত নারায়ণগঞ্জ এ দেঃ ৪২৬/০৫ দায়ের করেন মোঃ মোকসেদ হোসেন। বিজ্ঞ আদালত ২০১১ সালে মামলা খারিজ করে দেন। এই রায়ের ডিক্রির বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে মোঃ মোকসেদ হোসেন এফএ ২০৯/১১ দায়ের করেন যাহা এখনো বিচারাধীন আছে। তা সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নালিশা জমির উপর বালু ভরাট ও দেয়াল নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৯ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আইন কর্মকর্তা জিএম সাত্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪২।
তাতে তিনি উল্লেখ করেন,ঘটনার দিন মেসাস রত্না এন্টারপ্রাইজ এর কর্মচারী লিটন, তারা মিয়া, নাসিক সার্ভেয়ার মোঃ কালাম মোল্লা, বাদী নিজে সহ ২০/২৫ জন লেবার ভূমিতে ট্রাক যোগে বালু ফেলার সময় বিবাদী মৃত হাজ্বী অলিউল্লার পুত্র মোঃ মোকসেদ হোসেন, মৃত আলহাজ্ব মোঃ বজলুল হকের পুত্র মোঃ সাইদুল হক ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন লোক লাঁঠি, বাশ ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বালু ফেলতে নিষেধ করে এবং ঠিকাদারের নিয়োজিত কর্মচারীদের কাছে চাঁদা দাবী করে। ভূমিতে কোন কর্মচারীকে দেখতে পাইলে খুন করার হুমকি দেয় বলে উল্লেখ করেন।
জমির মালিক মোঃ মোকছেদ হোসেন ও সাইদুল হক ডালিম নাসিক আইন কর্মকর্তা জিএম সাত্তারের মামলাকে মিথ্যা,বানোয়াট ও সাজানো দাবী করে বলেন,জমির মালিক আমরা হলেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতের শরনাপন্ন হই। হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। হাইকোর্ট উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।আমাদের লাগানো সাইনবোর্ড ফেলে দিয়েছে।অথচ নাসিক আইন অমান্য করে জমিতে বালু ভরাট করে দেয়াল নির্মান করছে যা আদালত অবমাননার শামিল।
তিনি বলেন,ভাই আপনারা সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে গিয়ে আশেপাশের লোকজন কে জিজ্ঞাসা করেন ৯ মে আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম কিনা এবং বাধাঁ,হুমকি দিয়েছিলাম কিনা। এটি একটি মিথ্যা মামলা।
এ ব্যাপারে নাসিক আইন কর্মকর্তা জি এম সাত্তার মুঠোফোনে বলেন,কাজ করতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা নাই। তারা নিন্ম আদালতে হেরে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ২০১১ সালে। তারপর আর কোন খবর রাখেননি। এডিএম কোর্টে ও তারা মামলা করেছিল। কোর্ট তা খারিজ করে দেয়। কিছু ঘটেছিল বলে মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........