নারায়ণগঞ্জবৃহস্পতিবার , ৬ এপ্রিল ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

আড়াইহাজারে যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা

Alokito Narayanganj24
এপ্রিল ৬, ২০২৩ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আড়াইহাজার প্রতিনিধি:আড়াইহাজারে দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহাবুবুল আলম হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার (৫ এপ্রিল) রাতে নিহত মাহাবুবের বড় ভাই মহিবুর বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে আড়াইহাজার থানায় এই মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দুপ্তারা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি হাসমত আলীকে। অন্য আসামিরা হলেন- কিছমত আলী, কামাল, ডলি আক্তার, ইব্রাহীম, আবু তাহের, আইয়ুব, হান্নান, অনিক, আলামিন, শান্ত, নূরা, সাইফুল ও আমান।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল আড়াইহাজারের দুপ্তারা ইউনিয়নের সিংরাটি এলাকায় পাওনা টাকার জেরে মাহাবুব আলমকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও চোখ তুলে হত্যা করা হয়।

নিহত মাহাবুব দুপ্তারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সিংরাটি এলাকার হাজী আব্দুল হানিফার ছেলে। তিনি দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামের হাশমত মিয়ার কাছে মাহাবুব একটি জমি বিক্রির জন্য ৩ লাখ টাকা বায়না নিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ হাশমত বায়নার টাকা ফেরৎ চাচ্ছিলেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার কালিবাড়ি এলাকা থেকে মাহাবুবকে হাশমত আলীর নেতৃত্বে একদল লোক তুলে নিয়ে যায়। পরে হাশমত আলী সিংরাটি এলাকার তার নিজ বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে মাহাবুবকে আটকে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে মারধর করেন। তাদের মারধরে মাহাবুব গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

নিহত মাহাবুবের চাচা মজিবর রহমান বলেন, একই গ্রামের হাশমত মিয়ার কাছে মাহাবুব তার একটি জমি বিক্রির জন্য ৩ লাখ টাকা বায়না নেয়। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ হাশমত সেই জমি নেবে না জানিয়ে বায়নার টাকা ফেরৎ চায়। মাহাবুব টাকা ফেরতের জন্য সময় চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সকালে মাহাবুব উপজেলার কালিবাড়ি এলাকায় গেলে সেখানে হাশমতের লোকজন প্রথমে মাহাবুবকে মারধর করে। এরপর অপহরণ করে একটি সিএনজিতে করে হাশমতের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাশমত, তার ভাই কিসমত ও কামালসহ পরিবারের লোকজন পর্যায়ক্রমে তাকে মারধর করতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে মাহাবুবের বাবা হানিফ মিয়া, মা তাহেরা বেগম, দুই ভাই মহিবুর ও হাবিবুর এবং আমি হাশমতের বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি মাহাবুবকে তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করছে। তারা লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে তাকে পেটাচ্ছে। এসময় আমরা টাকা পরিশোধ করে দেবো জানিয়ে মাহাবুবের প্রাণ ভিক্ষা চাই। কিন্তু আমাদের অনুনয় বিনয়ে তাদের মন গলেনি। উল্টো আমাদের সামনেই মাহাবুবের একটি চোখ উঠিয়ে ফেলা হয়। হাতুড়ি দিয়ে পর্যায়ক্রমে তার মাথায় আঘাত করে মাথার খুলি ফাটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। মাহাবুব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা আমাদের বলে এবার নিয়ে যা।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!