নারায়ণগঞ্জসোমবার , ৭ মার্চ ২০২২
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

এ বছরই আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিলঃ কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক?

Alokito Narayanganj24
মার্চ ৭, ২০২২ ১১:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মনির হোসেনঃ এ বছরেই আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পন্ন করতে তৎপরতা চালাচ্ছে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ। এবারের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে চমক দেখাবে ঐতিহ্যবাহী দলটি। তবে ডিসেম্বরে হবে নাকি এর আগেই কাউন্সিল অধিবেশন হবে এ নিয়ে আওয়ামী লীগে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। একইসাথে আওয়ামী লীগ সারাদেশে সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সম্মেলন করা হচ্ছে এবং নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হচ্ছে। তবে এবারের কাউন্সিলে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে কে হচ্ছেন ‘সাধারণ সম্পাদক’। আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ নিয়ে কোনোরকম আলোচনা নেই। আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী একটি বিষয়ে ঐক্যমতে আছেন যে, শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন ততদিন আওয়ামী লীগের সভাপতিত্ব তিনি করবেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আবার সাধারণ সম্পাদক হবেন না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক দলের কাউন্সিল করতে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চলতি বছরের কোনো এক সময়ের মধ্যেই দলের কাউন্সিল করবে। কারণ, আগামী বছর ডিসেম্বরে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে নতুন কমিটিকে অন্তত এক বছর দল গোছানোর জন্য সময় দিতে হবে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল মানে সাধারণ সম্পাদক নিয়ে আলোচনা। প্রশ্ন হলো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে হবে? ইতিমধ্যে কাউন্সিলকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ একাধিক তৎপরতা গ্রহণ করেছে। প্রথমত, বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সম্মেলন করছে। করোনার সংক্রমণ যখন বেড়েছিল সেই সময়েও এই সম্মেলন কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। সারাদেশে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এবং আগামী জুনের মধ্যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করতে চায় আওয়ামী লীগ। তবে এই সম্মেলন শেষ না হলেও জাতীয় কাউন্সিলের সঙ্গে এই কাউন্সিলের তারিখ পেছাবে না। তৃতীয়ত, কোন্দল নিরসন। বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের যে উপজেলা অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সেই কোন্দল নিরসনের জন্য আওয়ামী লীগ দফায় দফায় বৈঠক করছে এবং বিবাদমান দুই পক্ষকেই একসঙ্গে নিয়ে বসা হচ্ছে। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

 

দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রমতে, সারাদেশে অন্তত ৪৬টি জেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি জেলার কোন্দল অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এই কোন্দলগুলো কাউন্সিলের আগেই আওয়ামী লীগ যেকোনো মূল্যে নিরসন করতে চায়। এই তিনটি কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তার পরবর্তী কাউন্সিল অধিবেশনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশ অসুস্থ। তার অসুস্থতার কারণে তিনি দলের সমস্ত কার্যক্রমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভূমিকা রাখতে পারছেন না। এটি সাংগঠনিক ক্ষেত্রে এক ধরনের দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আর সে কারণেই আগামী কাউন্সিলটা আওয়ামী লীগের জন্য জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ দলকে যদি সংগঠিত করতে হয় তাহলে একজন সার্বক্ষণিক সাধারণ সম্পাদক অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু সংগঠন যদি দুর্বল হয় তাহলে সব ক্ষেত্রেই সমস্যা হতে পারে। এ কারণেই আওয়ামী লীগ এখন কাউন্সিলের দিকেই বেশি মনোযোগী।

 

আলোচনায় সাধারণ সম্পাদক: আওয়ামী লীগের কাউন্সিল মানে সাধারণ সম্পাদক নিয়ে আলোচনা। শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন ততদিন আওয়ামী লীগের সভাপতিত্ব তিনি করবেন। প্রশ্ন হলো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে হবে? আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আবার সাধারণ সম্পাদক হবেন না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। বিশেষ করে তার শারীরিক অবস্থা এবং সামনের নির্বাচনের আগে সারাদেশে সাংগঠনিক তৎপরতার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি বিবেচনায় নেই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক কে হবেন এ নিয়ে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা এবং গুঞ্জন চলছে। এটিকে ঘিরেই আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে হবে, এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই নানামুখী আলোচনা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে এই মুহূর্তে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাহাঙ্গীর কবির নানক ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়াটা যেন তার জন্য শাপে-বর হয়েছে। এর পরপরই তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে তার ভূমিকা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট নিরসনে তার উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির আস্থাভাজন নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর এ কারণেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম জাহাঙ্গীর কবির নানক।

 

তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এ ব্যাপারে নানা রকম নাম বলছেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের নাম আলোচনায় আছে। তিনি সুধী-সমাজের মধ্যে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, দলের একজন ভদ্রলোক হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু সারাদেশে সাংগঠনিক নেটওয়ার্কে তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু, সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় আছেন মাহবুবউল আলম হানিফও। তিনি তিনবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দলে তার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। এছাড়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি এখন বেশ ভালো অবস্থানে আছেন। তিনি যদি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন, সেটিও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে জাতীয় কাউন্সিলের আগে পর্যন্ত কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারবে না কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। তবে এ নিয়ে যে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন আড্ডায় সরগরম আলোচনা হবে তা মোটামুটি নিশ্চিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, সম্মেলনে কাউন্সিলররা সাধারণ সম্পাদক পদে কাউকে মনোনীত করে দায়িত্ব দেবেন দলীয় সভাপতির ওপর। এটা তার ওপরই নির্ভর করবে, এটাই বাস্তবতা। আর সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, আগামী ২২তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন, সেটা এখনও আমরা নিশ্চিত নই। আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী দলকে চালাতে পারেন, সার্ভিস দিতে পারেন-এমন যোগ্যতা আছে; সততা, নিষ্ঠা এবং দল চলানোর মতো নেতৃত্বগুণ আছে, এমন কেউই দায়িত্ব পাবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!