আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুরে আওয়ামীলীগে ত্যাগী কর্মীর বিরুদ্ধে হাইব্রীড নেতার মামলা ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা। একই সাথে হাইব্রীড নেতাদের কারণেই ত্যাগীরা রাজনীতিতে অনীহা প্রকাশ করছে বলে তারা মনে করছেন।
জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরেই কাশীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহীন আলমের সাথে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফির সাথে দ্বন্দ্ব ছিল। শফি দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতিতে নিস্ক্রীয় ছিলেন।
অপরদিকে, দলের ক্রান্তি সময় থেকে শুরু করে সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে সক্রিয় ছিলেন শাহীন আলম। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী শামীম ওসমানকে বিজয়ী করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়াসহ কঠোর পরিশ্রম করেছিল শাহীন। শাহীন আলম এক সময় শফির সাথেই আওয়ামীলীগের রাজনীতি করলেও শফি স্বার্থবাজ নেতা জানতে পেরে তার কাজ থেকে সড়ে আসনে।
এরপর ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম. সাউফুল্লাহ বাদলের দিক নির্দেশনায় কাশীপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন হন শাহীন আলম। এতে ক্ষিপ্ত হন শফিউল্লাহ শফি। শাহীন আলমকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন শফি। আর সেই কৌশলের অংশ হিসেবে গত ৭ মে ফতুল্লা থানায় শাহীন আলমের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন শফিউল্লাহ শফি।
অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ তদবিরে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই শাহীন আলমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলাটি দায়ে সক্ষম হন। এই মামলায় শাহীন আলম আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। এদিকে, শাহীন আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামীলীগ নেতারা।
এব্যাপারে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম. সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, শাহীন আলম দলের ত্যাগী কর্মী। তার বিরুদ্ধে যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আওয়ামীলীগের ত্যাগী কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করাটা ঠিক হয়নি। এব্যাপারে কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সাত্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার শামীম আহাম্মেদ বলেন, শাহীন আলমের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দলের দুঃসময়ে সক্রিয় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। আজ দলের সুসময়েও হাইব্রীডদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। এব্যাপারে শফিউল্লাহ শফির সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, শফিউল্লাহ’র বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র মজুত, ভূমি দস্যুতা, নারী কেলেংকারী, মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার, অবৈধ এসিড ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ করেছেন। এচাড়াও গত বছরের নভেম্বর মাসে শফির পুত্র নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য আবু বক্কর সাজনকে র্যাব-৩ গ্রেফতার করেছিল। জঙ্গি সংগঠনের সাথে শফির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।
আপনার মতামত লিখুন........