নারায়ণগঞ্জবুধবার , ১৩ অক্টোবর ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

কে জিতলো বিএনপির সেন্টু নাকি আওয়ামী লীগ?

Alokito Narayanganj24
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মো. মনির হোসেন:প্রায় ১৩ বছর যাবত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অনেক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। তবে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কত সংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকর্মী ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। তবে সহযোগী ও ভ্রাতৃ-প্রীতম সংগঠনগুলোর মধ্য দিয়ে তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে। মূলদল আওয়ামী লীগে কিছুটা করাকরি থাকায় মূলত সহযোগী সংগঠনগুলোকে তারা প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুতুবপুর ইউনিয়নে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা সেন্টু নৌকা প্রতীক পাওয়ায় সর্বত্র সমালোচনা চলছে। আর শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ করা মুক্তিযোদ্ধা সিকদার গোলাম রসূলকে সহ কয়েকজন নেতাকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি, উভয় দলের মধ্যেই চলছে সমান তালে আলোচনা সমালোচনা। প্রশ্ন উঠেছে, এমন পরিস্থিতিতে কে জিতলো, সেন্টু নাকি আওয়ামী লীগ?

এদিকে গত সোমবার আসন্ন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি মূলক এক সভায় রাতে দেলপাড়ার মীরকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল আলম সেন্টু বলেন ‘এখন আমি নৌকার মাঝি, আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমার নেতা শামীম ওসমান। আপনাদের কাছে আমি পদ পদবী চাই না। আমার দরকার নেই। আমি শুধু চাই, আপনারা এমন কিছু করেন, যাতে ইউনিয়নের ৮০ শতাংশ ভোট নৌকায় পড়ে। শামীম ওসমানের যাতে কোন বদনাম না হয়, সে জন্য আপনাদের কাছে সহযোগীতা চাচ্ছি।

সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড নেতাদের দাপট দীর্ঘ দিন ধরেই। অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতারা দাবী করে আসছিল। গত বছরের প্রথম দিকে হাইব্রিড নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্র। পর্যায়ক্রমে নারায়ণগঞ্জে শুদ্ধি অভিযানের কথা ছিল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে শুদ্ধি অভিযান শুরু আগেই গত বছরের মার্চ মাসে সাড়া দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ায় নারায়ণগঞ্জে আর শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়নি। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজনীতির মাঠও ছিল স্তব্ধ। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নির্বাচন ইস্যু নিয়ে রাজনীতির মাঠ যখন গরম তখন ফের আলোচনায় এসেছে অনুপ্রবেশকারী নেতাদের বিষয়টি। বিশেষ করে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টু নৌকা প্রতীক পাওয়া নিয়ে জেলা জুড়েই চলছে সমালোচনা।

মূলত বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সেন্টু কখনো আওয়ামী লীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেননি। তারপরও তার হাতে নৌকা দেখে হতভম্ব স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেন্টুর মত অনেক নেতাই আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। যা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের প্রতি মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা নাখোশ। এরআগে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জামাতের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত কাশীপুরএক নেতাকে সহ-সভাপতি পদ দেয়া হয়েছিল।

জানাগেছে, ক্ষমতাসীনদলের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দকে ম্যানেজ করে কতিপয় বহিরাগতরা দলের ভিতরে প্রবেশ করেছে। চালিয়ে যাচ্ছে তাদের পূর্বের ন্যায় বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড! এমনকি স্থান করে নিচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রীতম সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পদ পদবীও। ক্ষমতাসীনদলের পদ পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড করার ফলে দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি অবমূল্যায়িত হচ্ছে দুঃসময়ে থাকা রাজপথের নেতা-কর্মীরা। এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। বহিরাগতদের আগমনের ফলে ক্ষমতাসীনদলের নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা।

বর্তমানে এমন পরিস্থিতিতে তৃনমূল নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনদলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অতীত ভূলে গেছে! তাই ক্ষমতাসীনদলের সে সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং বহিরাগতদের নিয়েই রাজনীতি করে আসছে। এর ফলে একদিকে দলের বদনামের পাশাপাশি ভবিষ্যতে দলীয় স্বার্থে বর্তমানে অবমূল্যায়িত এবং ত্যাগী নেতৃবৃন্দকে দলীয় প্রয়োজনে পাবে না বলেও ত্যাগী নেতৃবৃন্দের অভিমত। এতে বিএনপি-জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধী বা স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যরাও চোখের পলকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য হয়ে যাচ্ছেন। বাগিয়ে নিচ্ছেন দলের বিভিন্ন পদ-পদবিও।

এছাড়াও সূত্রমতে, ২০১৪ সালে বিএনপি ও জামাতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের জালাও পোড়াও আন্দোলনকে প্রত্যাখান করে শামীম ওসমানের নির্দেশে তৎকালীন দায়িত্বরত ফতুল্লা প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন সেন্টু। যার কারণে বিএনপি-জামাত জোট ফতুল্লা থানা অঞ্চলে তেমন কোন তান্ডব করতে পারেনি। তার পরবর্তীতে আওয়ামী রাজনীতির উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য শামীম ওসমানের জন্য বিভিন্ন সভা সমাবেশে দোয়া চান ও শামীম ওসমানকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে জনগনকে অনুরোধ করেন সেন্টু। যার কারণে বিএনপি তাকে ২০১৮ সালে বহিষ্কার করে।

একই সাথে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, বিএনপির একজন নেতাকে টেনে এনে নৌকার প্রার্থী করার ক্ষেত্রে দলটির যে দীনতার দৃশ্য ফুটে উঠেছে, এর ব্যর্থতা কার?

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে এক সময় বিএনপির হেভিওয়েট নেতা ছিলেন মনিরুল আলম সেন্টু। কিন্তু বিএনপির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে দহরম মহরমের কারণে এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলেন মনিরুল আলম সেন্টু।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!