আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেন ও তার তিন সহযোগী একটি চাঁদাবাজি মামলায় খালাস পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এ রায় দেন।
খালাসপ্রাপ্ত নুর হোসেনসহ তার সহযোগীরা হলেন- শাহ জালাল বাদল, নুর উদ্দিন ও লোকমান।
একই সঙ্গে এদিন আরেকটি অস্ত্র মামলায় চারজনের সাক্ষ্য নিয়ে যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আগামী ৪ জুলাই রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে অপর দুই মামলা মাদক ও চাঁদাবাজি মামলায় নূর হোসেনসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও এদিন আদালতে কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আসেনি। আদালত পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী ১৪ জুলাই।
চাঁদাবাজি মামলায় খালাসের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইদুল ইসলাম নামের একজন বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ আটজনকে আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। রাষ্ট্রপক্ষ চারজনের বিরুদ্ধে আটজন সাক্ষী উপস্থাপন করি। আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নূর হোসেনসহ চারজনকে খালাস দেন।
অতিরিক্ত পিপি মো. সালাহ উদ্দীন সুইট বলেন, এদিন নূর হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ দিন ধার্য থাকলেও কোনো সাক্ষী আদালতে আসেনি। ফলে আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। একই সঙ্গে আরেকটি চাঁদাবাজি মামলায় তাকে খালাস দিয়েছেন। অস্ত্র মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের ভিত্তিতে যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের দিন ধার্য করেছেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, চার মামলায় বিচারিক কার্যক্রম শেষে দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয় নূর হোসেনকে। এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জে আনা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ ও ৩১ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আপনার মতামত লিখুন........