আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় এক কিশোরী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রবিবার (৩০ আগস্ট) বিকালে ওই কিশোরী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী কিশোরী অভিযোগে বলেন, দেড় বছর ধরে উপজেলার তারাবো হাটিপাড়া এলাকার কামাল হাজীর ভাড়াটিয়া বাড়িতে মাকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় একই এলাকার মোহাম্মদ আলী ওরফে মাউক্কার ছেলে রাব্বি মিয়ার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে রাব্বি মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। দীর্ঘ এক বছর ধরে শারীরিক সম্পর্কের ফলে তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
পরে রাব্বি মিয়াকে নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কথা জানিয়ে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন তিনি। এরপর ধেতে রাব্বি মিয়া তাকে বিয়ে না করার জন্য বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে রাব্বি মিয়া তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
পরে ভুক্তভোগী কিশোরী তার মাকে বিস্তারিত ঘটনা জানালে ওই কিশোরীর মা রাব্বি মিয়ার বাবা-মাসহ এলাকার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের ঘটনার বিস্তারিত জানান। এরপর গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিবাদী মোহাম্মদ আলী ওরফে মাউক্কা, রফিকুল, নবীর হোসেন, সালাউদ্দিন ওরফে সালু, বেকারি মিঠু, মিজানসহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৭ জনকে নিয়ে তারাবো হাটিপাড়া এলাকার বদরুজ্জামান বদুর বসতবাড়িতে একটি বিচার-শালিস বসে। পরে শালিসের নামে বিবাদীরা ওই কিশোরী ও তার মাকে মিথ্যা অপবাদসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রামের বাড়িতে তাড়িয়ে দেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষকের বাবা মোহাম্মদ আলী ওরফে মাউক্কাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তপূর্বক বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন........