আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের আলোচিত স্কুলছাত্রী জিসা মনি আক্তারের কথিত গণধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর কিশোরী জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় আদালতের শোকজের জবাব দিয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুন্নাহার ইয়াসমিন এর আদালতে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব উপস্থাপন করেন। পরে আদালত লিখিত জবাব গ্রহণ করে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর আদেশের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
ওই দুইজন হলেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান ও সদ্য সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসআই শামীম আল মামুন।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট এ ঘটনায় দুই কর্মদিবসের মধ্যে ‘কিভাবে মৃত ব্যক্তি জীবিত হলো এবং কেন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত করা হলো’ এ বিষয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুনকে লিখিত ব্যাখ্যা সহ কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জ কোট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দুপুরে সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান ও এসআই শামীম আল মামুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ঘটনার লিখিত জবাব দেন। পরে আদালত আদেশের জন্য পরবর্তী ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয় কিশোরী জিসা আক্তার মনি। মেয়ে নিখোঁজের প্রায় দুই সপ্তাহ পর ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় জিডি করেন কিশোরীর মা। পরে গত ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন বাবা। পরদিন ওই মামলায় পুলিশ বন্দরের খলিলনগর এলাকার মো. আব্দুল্লাহ (২২), বুরুন্দি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইজিবাইক চালক রাকিব (১৯) ও ইস্পাহানী খেয়াঘাটের নৌকার মাঝি খলিলুর রহমানকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন........