নারায়ণগঞ্জরবিবার , ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টানা বর্ষনে সৃষ্ট বন্যায় মানবেতর জীবন ডিএনডিবাসীর!

Alokito Narayanganj24
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০ ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত দুই দিনের ভারী বর্ষণের কারণে ( ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ- ডেমরা ) ডিএনডি বাঁধের ভেতরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। বিশেষ করে ডিএনডির নিচু এলাকার বহু বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিল্প-কারখানা, মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজ, সবজি ক্ষেত ও নার্সারিসহ বিভিন্ন স্থাপনা বর্ষণের কারণে এক থেকে দেড় ফুট পানির নিচ তলিয়ে গেছে। ভারী বর্ষণের কারণে এসব এলাকার মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে ডিএনডির ভিতরে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপে হাই প্রেসারের পানির পাম্প লাগালেও কার্যত কোন পানি নিরাসনের ক্ষেত্রে সফলতা দেখাতে পাচ্ছে না। একদিকে পাম্প দিয়ে পানি সরানো হচ্ছে অণ্যদিকে টানা বৃষ্টিতে আবারো পূনরায় পানি জমে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। কোন ভাবেই ডিএনডি বাধের ভিতরে বসবাসরত সাধারন মানুষের কষ্ট লাঘব হচ্ছে না। এদিকে ডিএনডি বাধের ভিতরে বসবাসরত সাধারন মানুষ পানিবন্দী দুর্ভোগ থেকে বাচঁতে স্থায়ী ভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

তবে শিমরাইল পাম্প হাউজের কর্মকর্তাদের দাবি, পলিথিনসহ বিভিন্ন ময়লা আর্বজনার কারণে ডিএনডির ক্যানেল দিয়ে সেচ খালে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই কারণে চারটি পাম্প চালানো যাচ্ছে না।

ডিএনডির অভ্যন্তরের ফতুল্লা পিলকুনি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার, সোলায়মান মিয়া, মোহাম্মদ কামেস মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার দিনভর হালকা ও ভারী বর্ষণের পানিতে ডিএনডির প্রজেক্ট অভ্যন্তরের নিচু এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সাধারণত নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, স্কুল-কলেজ, মসজিদ- মাদ্রাসা পানিতে তলিয়ে গেছে। ময়লা-আবর্জনা ও নর্দমার সঙ্গে বৃষ্টি পানি মিশে একাকার হয়ে দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ সাধারন মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হচ্ছে। বর্ষণের ফলে ফতুল্লা পাইলট স্কুল রোড,দাপা সাহারা সিটি রোড,রেলষ্টেশন রোড, পিলকুনি, ফতুল্লা লালপুর, মিজমিজির পাইনাদী, সিআইখোলা, কালাহাতিয়ার পাড়, নতুন মহল্লা, মজিববাগ, রসুলবাগ, নয়াআটি, নিমাইকাশারী, তুষার ধারা, বক্সনগর, হাজীগঞ্জ, গিরিধারা, সাহেবপাড়া, বাঘমারা, সাদ্দাম মার্কেট, জালকুড়ি, হাজীনগর, মাতুইয়াল, শহীদ নগর, সবুজবাগ, ভূইঘর, দেলপাড়া, ডগাইর, মাতুয়াইল, সানারপাড়, টেংরা, কোদালদাহ, নয়াপাড়া ও ধনকুন্ডাসহ বিভিন্ন নিচু এলাকার অনেক বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, সবজি খেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থান ভেদে ডিএনডির অভ্যন্তর এখন এক থেকে দেড় ফুট পানিতে ডুবে আছে। এতে ডিএনডির অভ্যন্তরে বসবাসরত কয়েক লাখ লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পাইনাদী শাপলা চত্বর এলাকায় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে শাপলা চত্বর এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নিচু এলাকার বাড়িঘর, রাস্তাাঘাট ডুবে গেছে। ডিএনডির অভ্যন্তর থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হওয়া এ ভয়াবহ জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়েছে। আরেক বাসিন্দা ইব্রাহিম জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা যথাযথ না থাকায় রাস্তাগুলো ডুবে যাওয়ায় বিভিন্ন পেশার লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এমনকি অনেক বাড়িঘরেও বৃষ্টির পানি ঢুকেছে।

এ বিষয়ে শিমরাইলের পাম্প হাউজের উপ-সহকারী প্রকৌশল জানান, ডিএনডির নিষ্কাশনে খালে পানির স্রোতের সঙ্গে ময়লা আবর্জনা এসে পাম্পের মুখে জমতে থাকায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে এক সঙ্গে চারটি পাম্প চালানো যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার তারা তিনটি পাম্প চালু রেখেছে। তবে মাঝে মধ্যে একটি পাম্প বন্ধ রেখে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে আবারও বন্ধকৃত পাম্পটি চালু রাখতে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, সোমবার পাম্প হাউজের পাম্প চালু থাকা অবস্থায় পানির উচ্চতা ছিল ২ দশমিক ৯ মিটারে। আবার পাম্প বন্ধ থাকায় অবস্থায় ৩ দশমিক ৫ মিটারে চলে আসে। যেখানে শুষ্ক মৌসুমে পানির উচ্চতা থাকে ২ দশমিক ৫ মিটার। তিনি আরও জানান, গত তিন দিনের থেতে থেমে আসা ভারী বর্ষণে ডিএনডির অভ্যন্তরে স্থান ভেদে দেড় থেকে দুই ফুট পানিতে ডুবে আছে। যদি আর বৃষ্টিপাত না হয় তবে ডিএনডির জলাবদ্ধতা দূর করতে ১০ দিন সময় লাগবে।

পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তালেব জানান, ডিএনডির প্রধান নিষ্কাশন খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নিষ্কাশনে খালে পলিথিনসহ ময়লা-আবর্জনা এসে জমা হচ্ছে। তা আবার পরিষ্কার করে পাম্প চালাতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৫-৬৮ সালে রাজধানী ঢাকার ডেমরা, যাত্রাবাড়ি, কদমতলী, শ্যামপুর, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা থানা এলাকার ৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর এলাকা নিয়ে ডিএনডি বাঁধটি নির্মিত হয়। ১৯৮৮, ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় সারা দেশ পানিতে ডুবলেও ডিএনডি বাঁধ ছিল বন্যা মুক্ত। ফলে ডিএনডিতে এরপর বাড়িঘর, মিলকারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়ে যায়। বর্তমানে ডিএনডিতে ২০ লাখ লোক বসবাস করছে বলে অনেকে মনে করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!