আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : একের পর এক হত্যা করেও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে পশ্চিম দেওভোগ হাশেম বাগ এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী তুহিন। সর্বশেষ প্রকাশ্যে শাকিল নামে এক যুবককে হত্যা করার পর আত্মগোপনে চলে যায় তুহিন। তবে তুহিনের শেল্টার দাতারাও এখনো প্রকাশ্যে রয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জেই এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর আশ্রয়ে রয়েছে তুহিন। মাদকের ডিলার তুহিন অল্প বয়সেই অস্ত্র ব্যবহার ও মানুষ জবাই করার পারদর্শী হয়ে উঠে। জানাগেছে, গত ২৮ জুলাই রাতে মোটরসাইকেলের হেড লাইটের আলো চোখে পড়ায় দেওভোগ মাদ্রসা এলাকার কুখ্যাত মাদক ডিলার তুহিন ও তার বাহিনীর সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শাকিল (৩৫) নামে এক যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করে । এসময় পানি ব্যবসায়ী সজিব (৩২) ও শাওন (২৫) নামে আরো দুই যুবককে হত্যার চেষ্টা চালায় তুহিল বাহিনী। তাদের হামলায় সজিব প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুত্বর আতহ হয়েছেন। বর্তমানেও চিকিৎসাধীন রয়েছেন সজিব। সেদিনের কথা মনে পড়লে এখনো আত্কে উঠেন সজিব। এর আগে ২০১৭ সালে দেওভোগে হৃদয় হোসেন বাবুকে হত্যা করে তুহিন বাহিনী। ঐ হত্যা মামলার আসামী ইতিমধ্যে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন তুহিনই বাবুকে জবাই করে হত্যা করে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হাশেম বাগ এলাকার বাসিন্দা এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী তাসলিম হোসেনের শেল্টারে রয়েছে তুহিন বাহিনী। হাশেম বাগেই রয়েছে তাসলিম হোসেনের টর্চার সেল। সেখানেই ছিল তুহিনের আড্ডা। বর্তমানে শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী দারুনের কাছে নিরাপদে রয়েছে তুহিন। এদিকে, শাকিল হত্যা মামলায় তুহিনের সহযোগী চান্দু, বুলেট ও কামাল গ্রেফতার হলেও তুহিন এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে শাকিলের পরিবার। এরই মধ্যে শাকিলের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, নিজেদের অবস্তানের জানান দিতে ১৮ জানুয়ারী ২০জন পথচারীকে কুপিয়ে আহত করে তুহিন বাহিনী। তুহিন বাহিনীকে এলাকায় মুখোশ বাহিনী হিসেবেই চিনেন। মুখোশ পড়েই ২০জন পথচারীকে কুপিয়ে আহত করেছিল তারা। ঐ ঘটনার কয়দিন পরই আলমগীর হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে তুহিন বাহিনী। তাই এলাকাবাসী মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, আর কত হত্যার পর গ্রেফতার হবে সন্ত্রাসী তুহিন।
আপনার মতামত লিখুন........