নারায়ণগঞ্জমঙ্গলবার , ১৩ অক্টোবর ২০২০
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ধর্ষণে বাধা ও থানায় জিডি করায় বড়বোনকে কুপিয়েছে কিশোর গ্যাং

Alokito Narayanganj24
অক্টোবর ১৩, ২০২০ ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃনারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছোটবোনকে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় গার্মেন্টকর্মী বড়বোনকে কুপিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। রোববার রাতে ফতুল্লার শিহাচর শাহজাহান রোলিং মিল এলাকায় ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাঘাতে আহত গার্মেন্টকর্মীকে (২৫) ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একদিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন তিনি। তার পেটে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গার্মেন্টকর্মী বাবা-মা, ভাইবোনের সঙ্গে রোলিং মিল এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে আহত গার্মেন্টকর্মী ও আরেক ছেলের উপার্জনে তাদের সাতজনের সংসার চলে। এই পরিবারের ছোট মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার জীবন (১৬) ও লাদেন (১৭) নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিত তারা।

বিষয়টি এলাকাবাসী জানলেও ভয়ে কিশোর অপরাধীদের কিছু বলতে পারতেন না। তাদের প্রত্যেকের হাতে দেশি-বিদেশি অস্ত্র থাকে। সাধারণ বিষয়ে তারা অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়।

আহত গার্মেন্টকর্মী বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৯টার সময় জীবন ও লাদেনসহ ১০-১৫ জন কিশোর বয়সের ছেলে আমাদের বাসায় আসে। তাদের কারও বাবার নাম জানি না। তবে আমাদের এলাকায় তারা কিশোর অপরাধী হিসেবে পরিচিত। তারা যখন আমাদের বাসায় আসে তখন আমি গার্মেন্ট থেকে বাসায় এসেছি।

তিনি বলেন, কিশোররা এসেই আমাদের ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে জীবন আমার বোনকে জড়িয়ে ধরে খাটে ফেলে দেয়। তখন আমি চিৎকার করে জীবনকে ধাক্কা দিয়ে বোনকে জড়িয়ে ধরি। এ সময় তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর বোনকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আবারও আমি তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে জীবন আমার পেটে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে দলবল নিয়ে চলে যায়।

ওই গার্মেন্টকর্মী বলেন, এ সময় আমার মা-বোন ও ছোটভাইসহ আশপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক আক্রান্ত স্থানে ১৮টি সেলাই করে একদিন ভর্তি রাখেন।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় কিশোরদের ভয়ে থানায় গিয়ে তথ্য গোপন করে অভিযোগ না করে একটি জিডি করেছি। জিডির বিষয়টিও জীবন ও তার লোকজন জানতে পেরে সোমবার রাতে কয়েক দফা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে টিনের ঘর ও দরজা জানালা কুপিয়ে জিডি উঠানের হুমকি দিয়ে চলে যায়। জিডি না উঠালে পরিবারের সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয়।

ওই তরুণীর মা বলেন, আমরা গরিব আর ওই সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টারে চলে। আমরা তাদের সঙ্গে কিছুতেই পারব না। এলাকাবাসী শুনেও ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করেনি। যদি প্রশাসন বিচার করে তাহলে সন্ত্রাসীদের ফাঁসি চাই। সন্ত্রাসীরা কতটুকু ভয়ংকর তা আমার পরিবারের সবাই ও এলাকাবাসী জানে। আর যদি বিচার না পাই তাহলে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় চলে যাব।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশের দুটি টিম পাঠানো হয়েছে। আশা করি অপরাধীদের দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!