মো. মনির হোসেনঃ নারায়ণগঞ্জে বাজারগুলোতে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া সবজির দাম এখনও বেশ চড়া। চড়া দামের বাজারে কিছু কিছু সবজির দাম আবার নতুন করে বেড়েছে। হাত বদলেই বাড়ছে সবজির দাম। চাষিরা দাম না পেলেও পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা মুনাফা লুটে নিচ্ছে। পাইকারী হাটের চেয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি।আর বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে সবজির দাম। বাজারে ৬০ টাকার কমে সবজি পাওয়া কঠিন। আর শতকের ঘরেও অবস্থান করছে অনেক সবজি।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। নগরীর দিগুরবাজার, কালীরবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে পেঁপের কেজি ৪০ টাকা। এর কমে বা এই দামেও অন্য কোনো সবজি মিলছে না। এক কেজি করলা কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আবার ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে এক কেজি শিমের জন্য। বাজারে চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে, একই দামে বিক্রি হচ্ছে পটল। ঢেঁড়সের কেজি ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে, দুন্দলও বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আকারভেদে চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার ফালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা।
এছাড়া কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা। বাঁধাকপি ৫০ টাকা পিস, শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। দিগুর বাজারে আসা বেসরকারি চাকুরীজীবি আল মামুন বলেন, মাসিক বেতনের সঙ্গে বাজারের হিসাব মিলে না। তাই তো এখন মানসিকভাবে মেনেই নিয়েছি বাজারে গেলে বেশি টাকায় অল্প সদাই নিয়ে ফিরতে হবে। খেতে বসলে কম কম খেতে হবে। কালির বাজারে আসা এ ক্রেতা নারী গার্মেন্ট কর্মী হালিমা বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা ফেরেশতা। শুধু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য বৃষ্টি বা অন্য কোনো একটা সুযোগ পেলেই মানুষের গলা কাটে। আর এদিকে সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটি আছে তাদের মতো করে ঘুমিয়ে!
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
আপনার মতামত লিখুন........