আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে ৪০ জন মুসল্লি দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মসজিদের সামনের একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটে এবং মুহূর্তের মধ্যে একে একে মসজিদের ৬টি এসিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় মসজিদে থাকা মুসল্লিদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকেন। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লিদের চিৎকার। পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার পর দগ্ধ রোগীদের ১০০ শয্যা হাসপাতালে আনা হলে একজন রোগীকেও ধরে দেখা হয়নি। তাদের হাসপাতালের ফ্লোরে বসিয়ে রাখা হয়। পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।তিনি আরও জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পরই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ভেতরে একের পর এক লোকজন পড়ে আছেন। ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা গরম তেল ভেতরে পড়ে।
আহতদেরকে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতাল ও রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগের ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন জানান, রাত ৯টা থেকে একের পর এক রোগী আসছিল। তাদের সবার নাম লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। যেসব রোগী এসেছে তাদের ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ২০ থেকে ২৫ জন এসেছিল। তাদের কয়েকজনের শরীরে ৯৯ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মসজিদটিতে দেড় থেকে দুইশ’ মুসল্লি এশার নামাজে অংশ নেন। জামাত শেষে মুসল্লিরা যখন সুন্নত নামাজ আদায় করছিলেন তখন একটি এসি বিস্ফোরিত হয়। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হন এবং মারা গেছেন ৩ জন।
আপনার মতামত লিখুন........