আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: কারাগারে বিগত সরকারের তুলনায় বন্দিদের জন্য কয়েকগুণ বেশি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা বলেছেন, দেশের কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার হিসেবে দেখতে চান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী। এজন্য সরকার বন্দিদের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। কারাগারে বসেই বন্দিদের আয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে, যা যুগান্তকারী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়য়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে ‘ বন্দী প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসন কেন্দ্র’ সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন কারাবন্দীদের সকালের নাস্তা হিসেবে রুটি আর ১৪ গ্রাম গুড় দেয়া হতো। যা পরিবর্তন করে খিচুড়ি, সবজি রুটি ও হালুয়া রুটিতে পরিণত করা হয়েছে। যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আগে উন্নতমানের খাবারে বরাদ্দ ছিল ৩০ টাকা যা ৫ গুণ বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। আমরা প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছি যাতেও সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। সারাদেশে কোন কারাগারেও একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। এটা একটা বিরাট সাফল্য।তিনি জানান, কারা অভ্যন্তরে গার্মেন্ট ও জামদানী কারখানায় উৎপাদিত পন্যের বিক্রয়লব্ধ লভ্যাংশের ৫০ ভাগ কর্মরত বন্দীদের দেয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন তারা কাজ শিখছে অপরদিকে অর্থ উপার্জনও করছে। এতে তারা কারামুক্ত হয়ে সমাজে পুর্নবাসিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। বন্দী পুর্নবাসন সরকারের একটা ড্রিম প্রজেক্ট।
জেলা কারাগারে ডে কেয়ার সেন্টার, প্রিজন জেন্টস পার্লার ও স্টুডিও এবং বন্দী প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসন কেন্দ্র, বন্দী ব্যারাকের উধ্বর্মুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে তিনি বন্দিদের সাথে কথা বলেন। পরে তিনি বন্দিদের দিয়ে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি টিপু সুলতান, নারায়ণগঞ্জ জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার তানিয়া জামান, আরিফুর রহমান প্রমুখ।
কারাগারে চিকিৎসা সঙ্কটের বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে কারাগারে ১৪১ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু সেখানে মাত্র ৯ জনের পদায়ন হয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের গোলটেবিল বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন........