আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ ডালপট্রি এলাকায় আদালতের নিষেধ অমান্য করে লোড আনলোড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন অফিসে হামলা এবং ভাংচুর চালায় মনির ট্রেডার্সের ম্যানাজার কায়ুম খান সহ ৬০ থেকে ৬৫ জন লোক। একই সাথে তার পাশে অবস্থিত আজমেরী ট্রেডার্সের ম্যানাজার ইমরানকে মারধর করে তালা ভেঙগে অফিসে প্রবেশ করে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে নগরীর নিতাইগঞ্জ ডালপট্রি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মনির হোসেন গংদের বিবাবাদী করে নারায়ণগঞ্জ ৪র্থ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর ২৮/২০। বর্তমানে মালাটি বিচারাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই জায়গায় মেসার্স আজমেরী ট্রেডিংয়ের মালিক রিপন প্রায় ২০ বছর যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তিনি কামাল ট্রেডার্স থেকে ভাড়া নেন। এর আগে কামাল ট্রেডার্স এই জায়গাটি মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্ট ৯৯ বছরের জন্য লিজ আনে। বর্তমানে জায়গাটি মনির ট্রেডিং দখলের জন্য পায়তারা করছে। মামলার বাদী রিপন বলেন, আমরা এই জায়গায় ২০ বছরের বেশি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। মনির ট্রেডিংয়ের ম্যানাজার কাইয়ুম ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নাধারী নেতা শান্ত, শুভ সহ ৬০ থেকে ৬৫ জন লোক নিয়ে আমার কর্মচারী ইমরানকে মাইরধর করে। একই সাথে তালা ভেঙগে লোড আনলোড শ্রমিক অফিসে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীদের মত ভাঙচুর চালায়।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী শান্ত, শুভ আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। এবং আমাকে বলে আমি কি করে নারায়ণগঞ্জে থাকি তারা দেইখা নিবো। যেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারী আছে ওই খানে তারা কি করে এই ধরনের কর্মকান্ড চালায়। এবং তারা মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্টের নির্দেশনাবলী বলে তারা এখানে দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের এই ন্যাক্কার জনক কর্মকান্ডে আমি নিন্দা জানাই। এদিকে মনির ট্রেডিংয়ের ম্যানাজার কাইয়ুম বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্ট থেকে টেন্ডার নিয়া আসছি। তবে তারা মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্টের সিলসহ সিগনেচার করা কোন কাগজ দেখাতে পারে নাই।
আপনার মতামত লিখুন........