আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : দেশের বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসে চাকুরির প্রলোভন এবং ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৫০ চাকুরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৫৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাকার মিরপুরের কাজীপাড়া ও শাহ আলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, আবু জাহেদ নয়ন (২৮) এবং মাহমুদুল হাসান রনি (৩০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার বিকেলে র্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত আবু জাহেদ নয়ন এর বাড়ী নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন সালেহপুর গ্রামে। সে ২০১৫ সালে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, আগারগাঁও, ঢাকা কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে অস্থায়ী ভাবে চাকুরী পায়। প্রায় ১ বছর চাকুরী করার পর অনিয়ম ও জালিয়াতির কারণে তাকে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করা হয়। চাকুরীর সুবাধে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাধে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে চাকুরী প্রার্থীদের বায়োডাটা সংগ্রহ করে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চাকুরী প্রার্থীদের চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখায়।
পাসপোর্ট অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, এমএলএসএসসহ বিভিন্ন পদে প্রায় ৫০জন চাকুরী প্রার্থীকে চাকুরীর প্রলোভন ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৫৬ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। টাকা গুলো আবু জাহেদ নয়ন বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্যাংক, এসএ পরিবহন, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এবং নগদ এ গ্রহণ করে। বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনের জন্য ১০ জন প্রার্থীকে ১০টি ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে। নিয়োপত্র পাওয়া প্রার্থীদেরকে বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়ে তাদের পদায়ন হয়েছে মর্মে ভুয়া দাপ্তরিক চিঠি প্রদান করে। গত ৯ জুন উক্ত ভুয়া চিঠি নিয়ে প্রার্থীরা বিভিন্ন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগদান করতে গিয়ে তারা জানতে পারে যে, নিয়োগপত্র গুলো ভুয়া, জাল এবং পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত নয়। গ্রেফতারকৃত নয়ন এই ভুয়া নিয়োগপত্র গুলো মাহমুদুল হাসান রনির মাধ্যমে তৈরি করে। ঢাকার শাহআলী থানাধীন গুদারাঘাট এলাকায় রনির কম্পিউটার কম্পোজ এর একটি দোকান আছে। ওই দোকানে আবু জাহেদ নয়ন ও মাহমুদুল হাসান রনি মিলে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করত। রনির দোকান হতে জব্দকৃত ল্যাপটপে এই নিয়োগপত্র তৈরীর অনেক আলামত পেয়েছে র্যাব। প্রতারিত প্রার্থীরা সাবাই নোয়াখালীর জেলার স্থায়ী বাসিন্দা।
বেশ কয়েকজন ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল তাদেরকে গ্রেফতার করে।
আপনার মতামত লিখুন........