নারায়ণগঞ্জবৃহস্পতিবার , ১২ মার্চ ২০২০
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

ভুয়া সিলসহ মানবাধিকার ইউনিটের চেয়ারম্যান স্ত্রীসহ গ্রেফতার

Alokito Narayanganj24
মার্চ ১২, ২০২০ ৭:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : হারুন অর রশিদ (৫৩)। হত্যা মামলার আসামী, ভয়ংকর প্রতারক সে। নিজের নাম পরিবর্তন করে মো. জিয়াউল আমিন পরিচয়ে রাজধানীতে বিচরণ করে।

মোহাম্মদপুর হাউজিং এলাকায় গড়ে তুলে জাতীয় মানবাধিকার ইউনিট নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের নামেই দেশব্যাপী শুরু করে প্রতারণা। এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রতারিত করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন বাতিল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবুও থেমে থাকেনি তার প্রতারণা।
সুশীল সমাজ, পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের শতাধিক ব্যক্তিকে নানা কৌশলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হয়রানী করত সে। মানবাধিকার ইউনিটি নামক অবৈধ সংস্থার চেয়ারম্যানের ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে বেকার যুব সমাজকে চাকুরীর প্রলোভন, জায়গাজমি ও বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা মেটানোর নামে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল।
জাতীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪০টি কমিটি তৈরি করে প্রায় ২ হাজার কর্মী নিয়োগ করে যাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা সদস্য ফি হিসেবে নিয়েছে। জিয়াউল আমিনের প্রধান কাজ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে অন্যায় তদবীর করা। এই তদবীরে কোন কর্মকর্তা অস্বীকৃতি জানালে তার নামে বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ অফিস ও মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করত।
একাধিক মহিলাসহ তার নির্ধারিত কিছু এজেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরীহ জনগণের নামে মনগড়া মামলা ও অভিযোগ দায়ের করে আসছে।
এমন অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব ১১-র একটি আভিযানিক দল বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্বস্ত্রীক তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় প্রতারণা ও হয়রানির কাজে ব্যবহৃত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সীলসহ মোট ৪২টি ভুয়া সীল ও বিপুল পরিমান জাল/উদ্দেশ্য প্রণোদিত নথিপত্র, ১টি লোহার চাকু ও ১টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব ১১-র সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার আলেপ উদ্দিন এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আলেপ উদ্দিন আরো জানান,  গ্রেফতার মো. জিয়াউল আমিন, হারুন-অর-রশিদ (৫৩) এর বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানাধীন কালমেঘা এলাকায়। গ্রেফতার অপর আসামি তার স্ত্রী মোসা. দৌলেতুন নেছা (৪২) ওই কথিত প্রতিষ্ঠানের অর্থ সচিব। জিয়াউল আমিন ১৯৮২ সালে পাথরঘাটা কেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। ২০০৭ সালে বরগুনা জেলার পাথরঘাটার চ্যাঞ্চল্যকর দেবরঞ্জন কির্ত্তনীয়া হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী। এরপর পালিয়ে ঢাকায় এসে হারুন-অর-রশিদ থেকে জিয়াউল আমিন নাম ধারণ করে। এরপর কিছু উকিলের সাথে কোর্টে কাজ করার সুবাদে সে আইনী কিছু বিষয় রপ্ত করে ২০১১ সালে ‘জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি’ নামে একটি এনজিও শুরু করে।
র‌্যাব-১১ এর অনুসন্ধানে জিয়াউল আমিন, হারুন-অর-রশিদ এর কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন শতাধিক ভুক্তভোগীকে পাওয়া গেছে। কোন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা মামলা করলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিত, এর ফলে ভুক্তভোগীরা মামলা বা অভিযোগ করার সাহস পেত না।
নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!