আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃফতুল্লার কুতুবপুরের আমতলা এলাকাটি আবারো ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা।আহত সন্ত্রাসী শ্যামল এবং প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী অনিক বাহিনীর সন্ত্রাসীরা অস্ত্র- সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
তথ্য মতে উভয় গ্রুপের প্রকাশ্যে সংঘর্ষের পরে শ্যামল আহতের ঘটনার পর এখন নিয়মিত চলছে অস্ত্রের মহড়া। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উভয় গ্রুপই অপর গ্রুপের সদস্যদের শোডাউন করছে এলাকায়। আর এতে করে আতঙ্কিত আতংকিত হয়ে পরেছে স্থানীয়বাসী।
জানা গেছে, কুতুবপুরের শাহীবাজার, আমতলা, বউবাজার অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। আমতলার দুইটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন যথাক্রমে নাজমুল ইসলাম শ্যামল ও অনিক। উভয় গ্রুপের বিরুদ্ধেই মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক সেবন, অস্ত্রের মহড়াসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। আর এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধও দীর্ঘদিনের। তারই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছুদিন ধরে দুই গ্রুপে হুমকি-পাল্টা হুমকি চলছিলো। সর্বশেষ সম্প্রতি শ্যামলকে কুপিয়ে আহত করে অনিক বাহিনী।
বিশ্বস্ত সূত্রমতে, হামলায় গুরুতর আহত শ্যমল এখন বাসায় চিকিৎসাধীন। তবে থেমে নেই তার বাহিনীর কার্যকলাপ। অনিক বাহিনীর সদস্যদের খুঁজতে প্রতিনিয়ত শ্যামল বাহিনীর সদস্যেরা অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। এমনকি শ্যামলের ঘনিষ্ঠ ফয়সাল অস্ত্র হাতে নিয়ে মারমুখী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে, এমন একটি ছবিও এসেছে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিকটে। এমন মহড়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কে দিনযাপন করছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বসে নেই অনিক বাহিনীও। হত্যার উদ্দেশ্যে শ্যামলের উপর তারা হামলা করলেও পরিকল্পনা সফল করতে নতুন করে হামলার ছক কষছে তারা। একসময় বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন অনিক। যুবদলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে তাকে নিয়মিত দেখা যেত সক্রিয়ভাবে। কিন্তু সম্প্রতি কুতুবপুরের কিছু ভূইফোড় তথাকথিত আওয়ামী লীগ নেতার শেল্টারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অনিক। স্থানীয়বাসীর মতে,প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোন প্রকার ব্যাবস্থা না নিলে যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ঘটনা।
আপনার মতামত লিখুন........