নিজস্ব প্রতিবেদক: ফতুল্লার শাহজাহান রোলিং মিল এলাকায় দুই সহদোর মোহন-রাজন ও মামুন,ইসলাম,সুমনের নেতৃত্বে চলছে জমজমাট জুয়া। দীর্ঘদিন ধরে তারা নানা কৌশলে জুয়ার আসর বসিয়ে মানুষকে সর্বশান্ত করছে।
স্থানীয়রা জানায়,পুলিশ প্রশাসনের নীরবতার কারণে ফতুল্লার শাহজাহান রোলিং মিল বাইতুন নাজাত জামে মসজিদ সংলগ্ন রাজনের রিকশার গ্যারেজে ও রেললাইনের উপর প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। এই জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ করছেন শাজাহান রোলিং মিলস এলাকার মৃত আলী আক্কাসের ছেলে রাজন ও মোহন,বাদশা মিয়ার ছেলে মামুন ও ইসলাম কাশেম বাবুর্চির ছেলে সুমন।
সূত্র থেকে জানা যায়, রাজন ও সুমন রিকশার গ্যারেজের আড়ালে প্রকাশ্যেই জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করছে।এছাড়ামামুন,ইসলাম,সুমন রেললাইনের উপর প্রকাশ্যেই জুয়ার বোর্ড বসিয়ে পরিচালনা করছে। এতে করে এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপকর্ম বেড়ে চলছে। এসব আসরে প্রতি রাতে উড়ছে লাখ লাখ টাকা। শাজাহান রোলিং এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী সন্ত্রাসীরা এসব জুয়ার আসরের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন।
এদিকে পথচারীসহ মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীদের যাওয়া-আসার ও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে জুয়ায় আশা লোকজনে জন্য। এলাকার লোকজন জুয়ার আসর বন্ধের জন্য তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদান করছে। গত কয়েকদিনে শাহজাহান রোলিং মিলস এলাকা ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোনো ভূমিকা নেই। এলাকায় এতদিন ধরে প্রকাশ্যে জুয়ার আসর চলছে। পুলিশ যদি আগের মতো ভূমিকা পালন করত তাহলে কখনই প্রকাশ্যে এভাবে জুয়ার আসর চালাতে পারতো না। তারা কাউকে তোয়াক্কা না করে দিন দুপুর ও রাতে দিব্যি পরিচালনা করছে এ আসর। এতে করে এলাকার যুবকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ফতুল্লা থানা পুলিশ গত ৮ই মে রাত বারোটায় আটজন জুয়ারি নগদ টাকা জুয়া খেলার দুই বান্ডিল তাসসহ গ্রেপ্তার হয়। থানায় লিখিত ভাবে মুচলেকা দেওয়ার পরেও বন্ধ হয়নি মোহনও রাজনের জুয়ার আসর।
এলাকাবাসী জানায়, এব্যাপারে তাদের অভিবাবকদের বলার পরেও তারা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জুয়ার আসর। ফলে এলাকাবাসীর প্রশ্ন তাদের খুঁটির জোড় কোথায়? এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
আপনার মতামত লিখুন........