নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ইউপি নির্বাচনে কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো ইউপি সদস্য হিসেবে ভোট যুদ্ধে নামা অলিউল্লাহ খোকন ওরফে মাস্টার খোকন শুরুতে ব্যাপক আলোচনায় থাকলেও সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে ভোট যুদ্ধে অনেকটাই পিছিয়ে পরেছেন।
তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ইউপি নির্বাচনে কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রার্থী হয়েছেন ফতুল্লা থানা তাতী দলের আহবায়ক খোকন। দলীয় পদ-পরিচয় দিয়ে রীতিমতো প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
দলের ও শিক্ষক পদবী ব্যবহার করে শুরুতে ভোটারদের নিকট নিজ অবস্থান তৈরী করতে পারলেও সেটা অনেকটাই এখন ফিকে হয়ে পরেছে। এর কারন হিসেবে স্থানীয়রা জানায়,অলিউল্লাহ খোকন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল পরিচালনা করে থাকে। আর তাই তিনি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত এবং তিনি নিজেও শিক্ষক হিসেবে মানুষের নিকট নিজ পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন।কিন্তু এই শিক্ষকতার অন্তরালে তিনি মানব পাচারের নামে অর্থ আত্মসাৎ ও জমি ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসার নামে বহু জনের সাথে প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় একাধিক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে সন্ত্রাসীদের সাথে সখ্যতার থাকার। সম্প্রতি ফতুল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী নয়নের সাথে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর থেকে শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ক্রসফায়ারে নিহত সন্ত্রাসী ইবু ও নয়ন বাহিনী ফতুল্লায় বেশ আলোচিত জুটি হিসেবে পরিচিত ছিল। ইবু-নয়ন বাহিনীর হাতে একাধিক হত্যাকান্ডসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। নয়ন এলাকাবাসীর কাছে এখনো এক আতঙ্কের নাম।
সাধারণ ভোটারদের মতে, খোকন মাস্টার এলাকায় বিতর্কীত হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতসহ সন্ত্রাসীদের সখ্যতা থাকায় তাকে নিয়ে মানুষ অনেকটা শঙ্কিত। ভোটারদের মতে, তিনি জনপ্রতিনিধি হলে সমাজের উপকারের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশী হবেন। উল্লেখ্য, খোকন মাস্টার চেয়ারম্যান সেন্টুর ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচয় দিয়ে থাকেন।
তবে থানা বিএনপি এক নেতা বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নেই। দিনের ভোট রাতে হয়ে থাকে। তাই এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। সে অনুযায়ী দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।দলের পদ-পদবীতে থাকা নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে বলা হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে অলিউল্লাহ খোকনকে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি
আপনার মতামত লিখুন........