নারায়ণগঞ্জমঙ্গলবার , ১৯ মার্চ ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

ফতুল্লার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল হত্যাকান্ডের বিচার ৯ বছরেও হয়নি

alokitonarayanganj
মার্চ ১৯, ২০১৯ ১১:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল হত্যাকান্ডের ৯ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার পায়নি সোহেলের পরিবার। হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ নিহত সোহেলের পরিবারের। এই হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা সোহেল হত্যা মামলা স্বাক্ষিদের নানা ভাবে ভয় ভিতি দেখানোসহ মামলার ঘটনায় স্বাক্ষি না দিতেও হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফতুল্লার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল হত্যাকান্ডের ৯ বছর পার হলেও এখনো বিচার পায়নি তার স্বজনরা। অপরদিকে সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার ও সোহেল হত্যাকান্ডের মূল হোতা সন্ত্রাসী হিটলার, রনি, ফুয়াদ, কানা সুমনসহ অন্যান্য হত্যাকারীরা নিজ নিজ বাহিনী নিয়ে এখনো বীরদর্পে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন অভিযোগ সোহেলের স্বজনদের। হত্যাকারীদের অনেকে জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ও মাঝারি পর্যায়ের নেতাদের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে সোহেল হত্যাকান্ডের পর বর্তমান এমপি শামীম ওসমান জানাযায় অংশ নিতে গিয়ে হত্যাকারীদের সাথে কোন আপোষ করবেনা এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে বলে বক্তব্য রেখেছিলেন। কিন্তু হত্যকান্ডের ৯ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার পায়নি সোহেলের স্বজনরা। স্বজনদের দাবি দল ক্ষমতায় থেকেও যখন বিচার হচ্ছেনা তবে এ বিচার হবে কবে?

সূত্রমতে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক কবরী বাহিনীর সন্ত্রাসী ব্যাংক ডাকাত হিটলার, বাবু, মমিন, রনি, সেন্টু, কানা সুমন, ফুয়াদ, ডাকাত খেলাফত, আবুল, ডাকাত আব্দুল, মির্জা পাভেলসহ প্রায় ৩০/৩৫জন শসস্ত্র সন্ত্রাসী সোহেলকে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রকাশ্যে নির্মম ভাবে হত্যা করে। সোহেল কবরীর ক্যাডারদের এলাকায় মাদক ব্যবসা, ডাকাতিসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছিল বলেই তাকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয় এমন দাবি এলাকাবাসীর। এলাকায় নিজ নিজ অবস্থান ও প্রভাব বিস্তার করতেই কবরীর সন্ত্রাসী বাহিনী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সোহেল নির্মম ভাবে হত্যা করে বীর দর্পে এলাকা ত্যাগ করে চলে যায়। এই হত্যাকান্ডের পর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান নিহত সোহেলের জানাযা নামাজে অংশ নিতে গিয়ে প্রকাশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, হত্যাকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

এদিকে সোহেল হ্যাকান্ডের ৯ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সুষ্ঠু বিচার পায়নি তার স্বজনরা। এখনো পুত্রের হত্যাকারীদের বিচার চায় নিহত সোহেলের মা ও তার স্বজনরা। অপর দিকে সোহেল হত্যা কান্ডের পর এসব সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় যুবলীগ কর্মী নাহিদ। এলাকাবাসীর দাবি সোহেল হত্যার বিচার হলে যুবলীগ কর্মী নাহিদ নিমর্ম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতো না।

সূত্র জনায়, সোহেল ও নাহিদ হত্যা মামলার আসামীরা এখন বোল পাল্টে নিজ এলাকায় অবস্থান নিয়ে এলাকায় ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যাবসা, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে পিলকুনী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সোহেল হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ব্যাংক ডাকাত হিটলার, বাবু, ডাকাত শাহীন। এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে সন্ত্রাসী রনি, কানা সুমনসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা। এলাকাবাসীর দাবি এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এখনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। অন্যথায় যে কোন সময় এসব সন্ত্রাসীদের হাতে সাধারন মানুষ হত্যাকান্ডে শিকার হতে পারে। এ ব্যাপারে সাংসদ শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৯ মার্চ প্রকাশ্যে ফতুল্লার দাপা আদর্শ স্কুলের সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তৎকালীন সাংসদ কবরীর ক্যাডার বাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!