আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ঃ ক্রেতার অভাবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হাট থেকে ফেরত গেল ৪৫ মণ ওজনের গরু রাজাবাবু। এবারে ঈদে রাজাবাবু ছিল পশুর হাটের বিশেষ আকর্ষণ।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের জামিরতা গ্রামের মানিক ব্যাপারী (৫৫) বিক্রি করতে ফতুল্লার হাটে এনেছিলেন রাজাবাবুকে। এর দাম হাঁকছিলেন ১৫ লাখ টাকা।
গরুটি ঈদের ১ সপ্তাহ আগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কোরবানির পশুর হাটে তোলা হয়।তবে থেকেই আলোচনায় থেকেছে গরুটি। পত্রিকার পাতায়ও একে নিয়ে লেখা হয়েছে। এর পরও উপযুক্ত দামে রাজাবাবুকে কিনে নেয়নি কেউ। এ জন্য হতাশ হয়েছেন মানিক ব্যাপারী।
তিনি জানান,হাটে তোলার আগে এই বিশার আকারের ষাড়টিকে একনজর দেখতে তার বাড়িতে শত শত মানুষ প্রতিদিন ভিড় জমিয়েছে। অথচ ক্রেতার অভাবে হাটে এর দাম ৩ লাখের বেশি ওঠেনি।ফলে নিরুপায় হয়ে তিনি গরুটিকে হাট থেকে বাড়ি ফেরত এনেছেন।
তিনি আরো জানান, এ বছর ৩৬টি ষাড় ফতুল্লার হাটে নিয়েছিলেন। এরমধ্যে রাজাবাবুসহ মোট ৮টি গরু বিক্রি হয়নি তার। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে বলে জানান তিনি।
পোতাজিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাউফুল ইসলাম জানিয়েছেন,শুধু রাজাবাবুই নয়, ক্রেতার অভাবে শাহজাদপুর উপজেলার শত শত কোরবানির গরু হাট থেকে ফেরত আসতে শুরু করেছে। এতে গো-খামারিরা চরম লোকসানের মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান গরু ফেরত আসার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ বছর প্রতিটি গরুর হাটে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি গরু আমদানি হয়েছে। ফলে বেশ কিছু গরু হাট থেকে ফেরত এসেছে। কিন্তু কি পরিমাণ ফেরত এসেছে তা এই মূহুর্তে সঠিক ভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ২/৩ দিন পর এ বিষয়ে তথ্য নিয়ে জানাতে পারব।
আপনার মতামত লিখুন........