আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ উভয় গ্রুপের দু’জন করে ৪জনকে গ্রেপ্তার করে পাল্টা পাল্টি মামলা নিয়েছে। শনিবার দুপুরে মামলা গ্রহন করে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোবারক হোসেন ও ফতুল্লা ইউনিয়ন ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক সমর্থিত দুটি গ্রুপ শুক্রবার রাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে এলাকার সাধারণ লোকজনের বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে। বাড়ির গেইট, জানালা, দোকানের শার্টার দা দিয়ে কুপিয়ে ছিদ্র করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এসময় উভয় গ্রুপের তান্ডবে ভয়ে এলাকাবাসী বাসা বাড়ির বাতি নিভিয়ে চিৎকার করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ধাওয়া করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোবারক হোসেন (৬৫) তার সহযোগী রাতুল (১৫) ও আওয়ামীলীগ নেতা ওমর ফারুক (৬৫) এবং তার মেয়ে মাহমুদু আক্তার সীমাকে (১৯) আটক করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ওমর ফারুকের মামলায় মোবারক হোসেনকে প্রধান আসামী করে তার ছেলে সামিউল সিনহা, ভাগিনা এমরান হোসেন শুভ ও তাদের সহযোগি রাতুলকেসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০ জনকে আসামী করা হয়।
অন্যদিকে মোবারক হোসেনের পক্ষে মাসুদ খন্দকার বাদি হয়ে ওমর ফারুকসহ তার তিন ছেলে-মেয়ে নিলয়, সামির ও মাহমুদা আক্তার সীমাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, দুই মামলার আসামীদের মধ্যে মোবারক হোসেনের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা সামিউল সিনহা, ভাগিনা ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন শুভ, ওমর ফারুকের দুই ছেলে নিলয় ও সামির পলাতক রয়েছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই মোবারক হোসেন ও ওমর ফারুক এবং তাদের সমর্থীত লোকজনদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। প্রায় সময় তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের একাধীকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তারা প্রশাসনের সতর্কতা না মেনে সংঘর্ষে জড়িয়ে এলাকাবাসীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের শেল্টারদাতাদের গ্রেপ্তার করে পাল্টা পাল্টি মামলা গ্রহন করেছি।
আপনার মতামত লিখুন........