আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : দুই কিশোরকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সোহেল রানার বাহিনীর বিরুদ্ধে। হামলার পর এমদাদ ও সুজন নামে আহত দুই কিশোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহত এমদাদের খালা ফাহিমা বেগম (৩৫) বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল রানাসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে সোহেল রানাকে প্রধান আসামী করে নন্দলালপুর বটতলা এলাকার সফর আলীর ছেলে শুভ, সাইফুল ও জিমসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনকে সহযোগি আসামী করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আহত এমদাদের বড় ভাই আরিফের সাথে পূর্ব শুত্রুতা চলছিল অভিযুক্ত শুভর। শুভ ও তার সহযোগিদের আশ্রয়-পশ্রয় দিয়ে আসছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সোহেল রানা। এবস্থায় এমদাদ তার বন্ধু সুজনকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশাল থেকে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায় নিজ খালার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নন্দলালপুর এলাকার একটি চায়ের দোকানে বন্ধু সুজনকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন এমদাদ। এসময় স্বেচ্ছাসেক লীগ নেতা সোহেল রানার নির্দেশে শুভ, সাইফুল ও জিমসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন মিলে এমদাদ ও সুজনকে তুলে নিয়ে নন্দলালপুর বটতলা এলাকায় যায়। পরে সোহেল রানার হুকুমে অভিযুক্তরা এমদাদ ও সুজনকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এর মধ্যে শুভর ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুজনের মাথা এবং মুখমন্ডলে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে এবং এমদাদকে ইটের আঘাতে মুখ মন্ডল থেতলে দেয়। এসময় এমদাদ ও সুজনের মোবাইল এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় শুভ, সাইফুল ও জিম। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসে এমদাদ ও সুজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পাগলা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সোহেল রানা তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে জানান, আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না এবং শুভ বা কাউকে তেমন ভাবে চিনি না। হয়তো ওরা আমার এক এলাকায় বসবাস করে, তাই সে হিসেবে কেউ শুত্রুতা বশত আমার নাম দিয়ে থাকতে পারে।
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মোঃ হাফিজ জানান, “অভিযোগ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আহত দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
আপনার মতামত লিখুন........