আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ ফতুল্লার শিয়াচর লালখাঁ এলাকায় থেমে নেই মিঠু ওরফে ডাকাত মিঠুর মাদক ব্যবসা। ডাকাত রতনের মৃত্যুর পর তারই শিষ্য মিঠু গ্রহন করেছে শিয়াচর, লালখাঁ,রামারবাগ,স্টেডিয়াম এলাকার মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ। সুচতুর এই মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতারে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করলেও প্রতিবারই পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানায়,ফতুল্লা মডেল শিয়াচর লালখাঁ এলাকার জনু মিয়ার পুত্র মিঠু ওরফে ডাকাত মিঠু।ছেলেবেলা থেকেই মিঠু সাহসী হওয়ায় সু নজরে আসে ফতুল্লার অন্ধকার জগতের অন্ধকার জগতের শির্ষস্থানীয় অপরাধি রতন ওরফে ডাকাত রতনের। পরবর্তীতে ডাকাত রতনের হয়ে মিঠু একটি বাহিনী গড়ে তোলে।যা ডাকাত মিঠু বাহিনী হিসেবে সর্ব মহলে পরিচিত লাভ করে।
উল্লেখ্য যে,রতন ওরফে ডাকাত রতন ছিলো খুবই দূর্ধর্ষ এবং ভয়ংকর প্রকৃতির। মানুষ হত্যা ও ডাকাতি করা তার নেশায় পরিনত হয়েছিলো। সব সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করতো সে। অস্ত্র এবং মাদক ব্যবসা শুরু করে সে অল্প সময়ের ব্যবধানে জেলার শীর্ষ মাদক কারবারিতে পরিনত হয়। একাধিকবার সে অস্ত্র, মাদকসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেও বেরিয়ে আসেনি অন্ধকার জগত থেকে।
সর্বশেষ সে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। বেশ কয়েক মাস কারাগারে আটক থাকার পর জামিনে বের হয়। জামিনে বেরিয়ে আসার কয়েক মাস পর সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই মাস আগে মারা যায়। এবং অতি গোপনে বন্দর নবীগঞ্জে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে রতন মারা যাওয়ার পর তার এক সময়কার শিষ্য মিঠু ওরফে ডাকাত মিঠু একক ভাবে নিয়ন্ত্রণ গ্রহন করে শিয়াচর,লালখাঁ,রামারবাগ,স্টেডিয়াম সহ আশপাশ এলাকাজুড়ে গড়ে তুলেছে মাদকের বিশাল বাজার। স্থানীয় মহলে প্রচার রয়েছে যে ডাকাত রতনের রেখে যাওয়া অস্ত্র ডাকাত মিঠুর কাছে রক্ষিত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........