আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারী দিয়ে বাসায় এনে শারিরীক মিলনের দৃশ্য গোপনে ধারন সহ আটকে রেখে ব্ল্যাক মেইলিং করে মুক্তিপন আদায়কারী চক্রের এক নারী সদস্য সহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
এ সময় মুক্তিপন আদায়কারী চক্রের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোক্তার সর্দার নামে এক যুবককে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ফতুল্লা থানার শিয়াচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ঘটনার শিকার যুবক মোক্তার সর্দারের স্ত্রী মোসাঃ নাজমা বাদী হয়ে তার স্বামী আটকে রেখে টাকা চাওয়ার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত দায়ের করে।
জানা যায়,উদ্ধার হওয়া যুবক বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে নিজ কর্মস্থল থেকে বাসা থেকে বের হয়।সে তখন তার স্ত্রী কে বাসায় ফোন করে জানায় কিছুক্ষনের মধ্যে বাসায় ফিরে আসবে।কিন্ত সে বাসা না ফিরে তার পূর্ব পরিচিত ব্ল্যাক মেইলিং গ্রুপের সদস্য রুমা বেগমের সাথে শিয়াচর এলকায় গ্রেফতারকৃত রিয়াজের ভাড়া বাসায়। সেখানে তারা শারিরীক মিলন বা যৌন মিলনে লিপ্ত হয়। তাদের যৌন মিলনের দৃশ্য জানালার ফুটো দিয়ে মোবাইল ফোনে ধারন করে গ্রেফতারকৃত রিয়াজ সহ তার সহোযোগিরা। এক পর্যায়ে রিয়াজ ও তার সহোযোগিরা মুক্তার সর্দার কে ব্ল্যাক মেইলিং করতে শুরু করে। তারা তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে মোক্তারের স্ত্রীর নিকট ফোন করো এক লাখ টাকা মুক্তিপন হিসেবে দাবী করে। অপরদিকে মোক্তার কে বলে টাকা না দিলে ধারনকৃত ভিডিও ইন্টার নেটে ছড়িয়ে দিবে। এমনকি তাকে মোক্তার কে শারিরীক ভাবে নির্যাতন ও করে। মোক্তার অনেকটাই বাধ্য হয়ে তার স্ত্রীর নিকট ফোন করে ব্ল্যাক মেইলিং চক্রের দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার অনুরোধ করে। মোক্তারের স্ত্রী বিষয়টি থানা পুলিশ কে জানালে পুলিশ মোবাইল ট্যাকিং ও একটি বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে শিয়াচর এলাকা থেকে মোক্তার কে উদ্ধাট সহ গ্রেফতার করে রিয়াজ ও রুমা কে। এ সময় পুলিশ যৌন মিলনের দৃশ্য ধারন করা মোবাইল ফোনটি জব্দ করে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানায়, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার অপরাধী। অভিযানের সময় মাদক সেবনের বেশ কিছু আলামত পাওয়া গেছে। নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে অর্থ আদায়ের বিষয়টি তারা দীর্ঘদিন করে আসছে। এই চক্রের সাথে কারা কারা জড়িত রয়েছে তাদের কে গ্রেফতার চেস্টা করছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন........