আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:ফতুল্লার হাজীগঞ্জে জেনারেটর ব্যবসায়ী মাহবুবুল হক বাবলু হত্যা মামলার প্রধান আসামী বেনজীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার(১৫ অক্টোবর) রাতে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন।
বাবলু হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর আলমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলো পুলিশ। এ মামলার আরেক আসামী আলমের ছোট ভাই রাকিব ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার হয়। ৩ দিনের রিমাণ্ড শেষে বর্তমানে রাকিব জেলা কারাগারে রয়েছে। তবে মামলার বাকী ২ আসামী খালেক ব্যাপারী ও পলাশ এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতেও পুলিশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত: গত রোববার (৭ অক্টোবর) গভীর রাতে হাজীগঞ্জ এলাকায় আলমের নেতৃত্বে আসামীরা জেনারেটর ব্যবসায়ী মাহবুবুল হক বাবলুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। রাত আড়াইটার দিকে হাজীগঞ্জ বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে তুলে নিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে তল্লা সুপারীবাগ এলাকার মৃত বেনু মিয়ার ছেলে বেনজির আলম, রাকিব, খালেক, পলাশসহ আরও কয়েকজন যুবক। তাদের এলোপাথাড়ি কিলঘুষিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবলু। পরে স্থানীয়রা বাবলুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে নগরীর খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিনা আক্তার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার (বাবলু) মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আলম পালিয়ে গেলেও তার ছোট ভাই রাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত বাবলুর বড় ভাই মাজহারুল হক খোকন বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় রাকিবকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে ৩ দিনের রিমাণ্ড নেয়। রিমাণ্ড শেষে রাকিব বর্তমানে জেলহাজাতে রয়েছে।
এদিকে, বাবলু হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ৯ অক্টোবর আদালত চত্বরে মানববন্ধন করে নিহতের স্বজনসহ হাজীগঞ্জ এলকাবাসী। মানববন্ধন থেকে প্রধান আসামী বেনজির আলমসহ বাবলু হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং ফাঁসির জোরালো দাবি ওঠে।
আপনার মতামত লিখুন........