আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:ফতুল্লায় মাকে বাচাঁতে গিয়ে ছেলে সোগাগের মৃত্যুর পর মারা গেলেন মা মনোয়রা বেগম। বুধবার বিকাল ৫টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিসকৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, রিক্সাচালক হারেজ বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক। সেখানে তাকে রাখা হয়েছে পুলিশ প্রহরায়। হারেজের উপুর্যপরী ছুরিকাঘাতে মা ও ছেলে মারা যায়। পরে সে নিজের পেটেও ছুরিকাঘাত করে।
এরআগে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকায় শাহ আলমের ভাড়াটিয়া বাড়িতে পারিবারিক ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন তার বাবা ও মা।
নিহতের নাম সোহাগ (১৫), একই এলাকার রিকশাচালক হারেজ মিয়ার ছেলে।নিহত মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, রিকশাচালক হারেজ মিয়া, তার স্ত্রী হোসিয়ারী শ্রমিক মনোয়ারা বেগম (৪০), তাদের ছেলে গার্মেন্ট শ্রমিক সোহাগ ও মেয়ে বীথি আক্তার (১৩) টিনশেড বাড়িতে এক রুমের ভাড়া বাসায় থাকেন।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় হারেজ তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করলে ছেলে সোহাগ এতে বাধা দেয়। তখন হারেজ তার ছেলেকেও ছুরিকাঘাত করে।ওই সময় বীথি ঘুমিয়ে ছিল।
আপনার মতামত লিখুন........