আলোকিত নারায়ণগঞ্জের: ফতুল্লায় সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মারুফ ইসলাম ওরফে আকাশ (২০) নামের এক যুবক মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০২ ও ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ফতুল্লা রেল স্টেশন এলাকার পুরাতন ক্যালিক্স স্কুল রেল লাইন এলাকায় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দিন রাতেই আহত আকাশের চাচা তোফাজ্জল মোল্লা বাদী হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর হোতা শাহ্ জাহান রোলিং মিল এলাকার হোসেন ছেলে হৃদয়কে প্রধান ও অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার তদন্ত ভার পড়ে এস আই নজরুল ইসলামের উপর। কিন্তু ঘটনা ও অভিযোগ দায়েরের চারদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো অভিযোগটিকে এজাহারভুক্ত করেননি বলে জানান বাদী।
এ বিষয়ে জানতে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও ওপাশ থেকে তিনি সাড়া দেননি।
তবে থানার ওসি রকিবুজ্জামান মুঠোফোনে সাড়া দিয়ে বললেন, অভিযোগ এজাহারভুক্ত না হয়ে থাকলে রাতেই করে ফেলবো।
অভিযোগ দায়েরের বরাত দিয়ে বাদী তোফাজ্জল মোল্লা জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর সকালে ভাতিজা মারুফ ইসলাম আকাশ ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করতে করতে বাসার অদূরে এগিয়ে যায়। এমন সময় অজ্ঞাত কারনে শাহ্ জাহান রোলিং মিল এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে হৃদয়ের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার ভাতিজা আকাশের উপর অতর্কিত হামলা করে। ওদের মারপিটে এক পর্যায়ে ভাতিজা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে মৃত ভেবে ভাতিজার পকেটে থাকা poco M2 মডেলের মোবাইল হাতিয়ে নিয়ে লাথি মেরে পার্শবর্তী পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন গুরুতর আহতাবস্থায় ভাতিজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন........