আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ ফতুল্লায় একটি রপ্তানিমুখী সোয়েটার কারখানায় মালিক পক্ষের হামলায় ১৭ শ্রমিক আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারখানায় কাজে এসে হামলার শিকার হন শ্রমিকরা। ফতুল্লার লালপুর এলাকায় হোসাইন আহমেদ রোডে স্কয়ার সোয়েটার কারখানায় শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে সোহেল নামে এক শ্রমিক ফতুল্লা মডেল থানায় কারখানার দুই পরিচালকসহ ১০ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে ২০-২৫ জন অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, শ্রমিকরা শুক্রবার ছুটি কাটিয়ে শনিবার সকালে অফিস শুরুর সময় কাজে এলে কারখানার মূল ফটকে পরিচালক বাতেন শিকদার, ইকবাল শিকদার, ব্যবস্থাপক (এইচআর) মোহাম্মদ হান্নান, ইয়ান কন্ট্রোলার কায়েস, লিংকিং সুপারভাইজার শহিদ, আয়নাল হক বাবু, বোরহান, পিএম মোহাম্মদ আলী, লিংকিং ইনচার্জ নাছির, ডিস্ট্রিবিউশন খোকন শিকদার, আয়রন ইনচার্জ কাশেম ও আয়রন সুপারভাইজার তোফাজ্জলসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্রসহ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে সোহেল, জোহরা, হালিমা, মিনা, ডালিয়া, তানিয়া, হালিমা, নাসিমা, মাকসুদা, মাহমুদা, শামীম হোসেন, হায়দার, সেলিম, রোজাউল, জাহিদুল, মুরাদ, বাবুল গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে স্কয়ারের মালিক এমএ আউয়াল যুগান্তরকে জানান, থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। কারখানার লিংকিং, ট্রিমিং, মেন্ডিং এবং আয়রন শাখা শ্রম আইন মোতাবেক ৩১ ডিসেম্বর লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এ সংবাদ পেয়ে উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকরা কারও প্ররোচনায় কারখানার সামনে এসে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে। তখন সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এ বিষয় মালিক পক্ষের কেউ জড়িত নয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, একজন শ্রমিক যে অভিযোগ করেছে তার ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মালিক ও শ্রমিক উভয়কে বলা হয়েছে শ্রম আইন মেনে চলার। কেউ শান্ত পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন........