আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:ঈদ-উল আযহায় নারায়ণগঞ্জ কোরবানি করা হয় লাখ লাখ গবাদি পশু। মুসলিম ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী যা বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে গরীব-দুখিদের মাঝেও। তবে প্রতিবছরই কোরবানীর পর পাওয়া সেসব মাংসের অস্থায়ী হাট বসে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে। সহজলভ্য হওয়ায় সেসব হাটে ঈদের দিন বিকেল থেকেই ভিড় করেন মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন আয়ের ক্রেতারা।হাসান আলী এসেছেন পটুয়াখালী থেকে। ৬ সদস্যের পরিবারে হাসান আলীর সামর্থ নেই কোরবানী দেওয়ার। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাড়তি আয়ের আশায় কাজ নেন মৌসুমি কসাইয়ের। দিন শেষে কাজ করে পেয়েছেন প্রায় ১০ কেজি গরুর মাংস।
পরিবারের জন্য তিন কেজি রেখে যার বাকিটা বিক্রি করতে এসেছেন ফতুল্লা রেলষ্টেশন অস্থায়ীভাবে বসা মাংসের বাজারে।
হাসান আলী মত অনেকেই ঈদ-উল-আযহাতে কোরবানির মাংস বিক্রি করছেন ফতুল্লার এরকম বিভিন্ন বাজারে। অস্থায়ী এসব মাংসের বাজারে ক্রেতাদেরও ভিড় ছিল বেশ জমজমাট।
নারায়ণগঞ্জবাসীর অনেকরই পশু কোরবানি করার সামর্থ নেই। আবার অনেকেই নাড়ির টান থাকলেও করোনার কারনে থেকে যান নারায়ণগঞ্জে। নিয়মিত দামের তুলনায় এই মাংস কিছুটা কম দামে বিক্রি হওয়ায় তাই কোরবানিকৃত পশুর মাংসের স্বাদ নিতে এসব দোকানগুলোই যেন তাদের শেষ ভরসা।
ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার বসিন্দা পলি বেগমও ছেলের আবদার পূরণ করতে এসেছিলেন ফতুল্লা রেলষ্টেশনে মাংস কিনতে। অভিযোগ করছিলেন, সময় গড়ানোর সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় মাংসের।
ইসলামি শরীয়া মোতাবেক ঈদের দিন থেকে তিনদিন পশু কোরবানি করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সেই হিসেবে আরো দুদিন ফতুল্লার বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলবে এমন ভাসমান মাংসের বাজারের।
আপনার মতামত লিখুন........