নারায়ণগঞ্জবৃহস্পতিবার , ২৫ আগস্ট ২০২২
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন: শিক্ষামন্ত্রী

Alokito Narayanganj24
আগস্ট ২৫, ২০২২ ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে নিজের মধ্যে ধারণ করে সবার মধ্যে সেটি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি মানুষের বাইরে আর কিছু ভাবতেন না। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে এই চেতনা বঙ্গবন্ধু সবসময় লালন করতেন। তার মধ্যে ক্ষমতার লোভ ছিলনা। তবে মানুষের কল্যাণে তিনি ক্ষমতায় যান।

বুধবার (২৪ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র: পেছন ফিরে দেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের মধ্যে প্রায় ১৪ বছরই জেলে কাটিয়েছেন৷ এই সময়ের মধ্যেই তিনি মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরী করতে সক্ষম হন। কখনও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেননি, মানুষের কল্যাণের চিন্তা করতেন সবসময়। একাত্তরে যখন এদেশের গণমানুষের ওপর আক্রমণ করে পাকিস্তানিরা তখনই বঙ্গবন্ধু সবাইকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য লড়াইয়ে নামার আহবান জানান। যাতে সাড়া দিয়েই সাধারণ মানুষ নিজের জীবন বাজি রেখেই যুদ্ধে নামে এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে আসেন।

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যে রাজনৈতিক ধারা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি একটি আদর্শভিত্তিক। কিন্তু বিরোধী যারা আছে তারা সেই আদর্শের পরিপন্থী। তাদের কাজ মিথ্যাচার, খুন, আগুন সন্ত্রাস এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা৷ এগুলো রাজনীতির কোন উপাদান হতে পারে কিনা সেটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো অপরাজনীতি।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মেহনতি মানুষের কথা বলেছেন৷ তিনি তার কৈশোর ও যৌবনের অধিকাংশ সময়ই জেলে কাটিয়েছেন। তিনি কোনকিছুর সাথে আপোষ করেননি৷ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি যখন দেশে ফিরেন তখন সবকিছু বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশের প্রতিটি স্তর পূর্ণাঙ্গভাবে গুছিয়ে ফেলেন। সংবিধান প্রণয়ন, আইন প্রণয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ এমন কোন কাজ নেই যা তিনি করেননি। তবে কুচক্রী মহল সবসময়ই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। যার ধারাবাহিকতায় ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম।

শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!