আলোকিত নারায়নগঞ্জঃনারায়ণগঞ্জের বন্দরে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করেও সাত বছরের শিশু আকিব হত্যা মামলার একমাত্র আসামি রতনকে দুইবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শিশুটিকে অপহরণের অপরাধে একটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মুক্তিপণ আদায়ের অপরাধে আরেকটি ধারায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া শিশুটিকে হত্যার অপরাধে আসামি রতনকে আরেকটি ধারায় আরেকবার মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। আসামির কাছ থেকে জরিমানার অর্থ আদায় করে বাদীকে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহিন উদ্দিন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রতন কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার মির্জানগর এলাকার মৃত জয় মিয়ার ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর বাড়ির পাশের খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু আকিব। রাতে পরিবারের কাছে ফোন করে আকিবের মুক্তিপণ বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করেন অপহরণকারীরা। তবে মুক্তিপণের সেই টাকা দেয়ার পরও শিশু আকিবকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে না দিয়ে হত্যার পর পুকুরে লাশ গুম করে।
ঘটনার চারদিন পর র্যাব অপহরণকারী রতনকে গ্রেফতারের পর তার দেখানো মতে বন্দরের জাকির শাহ মাজারের পেছনের ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশু আকিবের বাবা জামাল মিয়া বাদী হয়ে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে রতনকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর রকিব উদ্দিন জানান, এই মামলার প্রধান আসামি রতন গ্রেফতারের পর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিল। সেই জবানবন্দি ও ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের ভিত্তিতে আদালত মামলার বিচারকাজ শেষ করে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করলেও এ রায় বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
আদালতের এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহত শিশু আকিবের পরিবার।
আপনার মতামত লিখুন........