শামীম ওসমান বলেন, ‘আপনারা খেলবেন ধ্বংসের পক্ষে আর আমরা খেলবো ধ্বংসের বিপক্ষে। আপনারা খেলবেন বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য, আমরা খেলবো বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য। আপনারা খেলবেন সাম্প্রদায়িকতার পক্ষে আর আমরা খেলবো অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে। যেখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কোনও ভেদাভেদ থাকবে না। যদি মনে করেন সেই খেলায় আপনারা জিতবেন, তারিখ দেন, কবে খেলবেন? সারা দেশে ঝামেলা করে লাভ নাই, এক জায়গায় খেলি, আসেন নারায়ণগঞ্জে খেলি।’
সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামনে একটা কঠিন সময় আসছে। এ সময়ে তারা বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। ওরা এখনও দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারে নাই। না মানারই কথা, ওরা ওদের জায়গায় ঠিক আছে, আমরা বিভক্ত। আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বিভক্ত। এখন সবার এক হওয়ার সময়। আওয়ামী লীগের এক হওয়ার সময় না, যারা দেশকে ভালোবাসেন, দেশের মাটিকে ভালোবাসেন, আগামী দিনের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করেন—তাদের এক হওয়ার সময়। কিন্তু অনেকে বোঝে না কিংবা বোঝেও না বোঝার ভান করেন।’
নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে যারা আওয়ামী লীগ করেন কিংবা আওয়ামী লীগ পরিবারের বড় বড় নেতানেত্রী আছেন, শেখ হাসিনার বদৌলতে বড় বড় পদ পেয়েছেন, দয়া করে মাঠে নামেন। আসেন বাংলাদেশটাকে বাঁচানোর জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করি। ২০২৪ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা আবারও ক্ষমতায় আসবেন, আমাকে বইলেন আমি সরে যাবো নিজের ইচ্ছায়। আপনারা পদ-পদবি নিয়ে শান্তিতে থাইকেন। আমার আপত্তি নেই।’
জেলায় জেলায় খন্দকার মোশতাকের জন্ম হয় উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আগে হাজার বছরে একজন বঙ্গবন্ধু আসতেন, শত বছরে একটা মীর জাফর আসতো। কিন্তু এখন দেখি বাংলাদেশে বছর বছর খন্দকার মোশতাক জন্ম নেয়, জেলায় জেলায় এমনকি পাড়া-মহল্লায়ও জন্ম নেয়। দলের ভেতরে জন্ম নেয়, দলের বাইরে নেয়।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে খুনিরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করেছিল উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের সহযোগিতায় খন্দকার মোশতাকের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, দেশও এগিয়ে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনাকে এখন টার্গেট করা হয়েছে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে আমাকে নিয়ে গালাগালি করা হয়েছে। খোকন সাহাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলা হচ্ছে। আমাদের বললে কিছু আসে যায় না। কিন্তু রাজনীতিতে এসব ভাষা চলে না। আমাদের ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন, আমরা মাথা পেতে নেবো। কিন্তু আপনারা সেটা করছেন না। কারণ আপনাদের টার্গেট সরকার ফেলা না, আপনাদের টার্গেট শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়া। এর আগে ২১ বার হামলা করা হয়েছে। এখন ভুলেও সে পথে হাঁটবেন না।’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বাবু চন্দন শীলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরওএছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল কাদির, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাজাদাত হোসেন সাজনু, হোসিয়ারী সমিতির সভাপতি নাজমুল আলম সজল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাবেক সভাপতি এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন........