নারায়ণগঞ্জশুক্রবার , ৯ আগস্ট ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

সাবেক স্ত্রীর মামলায় হয়রানীর শিকার পুলিশ পরিদর্শক

Alokito Narayanganj24
আগস্ট ৯, ২০১৯ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ
সাবেক স্ত্রীর মিথ্যা মামলায় ১৩ দিন বিনা দোষে জেলহাজত খেটেছেন এক পুলিশ পরিদর্শক। আবু নকীব নামের ঐ পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এক মাসে ৪টা মিথ্যা মামলা দায়ের করেন তার সাবেক স্ত্রী জাসমিন আহমেদ। ঐ মামলা তিনি নারায়ণগঞ্জ কারাগারে গত ৩ জুলাই মাসে জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় জেল খাটেন ১৩দিন। নিরীহ মানুষ যেখানে পুলিশের দ্বারস্থ হন ন্যয় বিচারের জন্য সেখানে একজন ওসি মর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তার নিজেই আজ অসহায়। তিনি ন্যায় বিচারের জন্য দ্বারস্থ হয়েছে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রনালয়ের।
সাবেক স্ত্রী বিরুদ্ধে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আইন মন্ত্রী,আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে। নারী নির্যাতনের ধারার অপব্যবহার করে ঐ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ৪ টি মামলা। নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ও যৌতুক, ধর্ষন যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দায়ের করা ৮০ শতাংশ মামলাই মিথ্যা। এর আড়ালে রয়েছে অন্য ধরনের বিরোধ।
সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা ফতুল্লা থানায় জিডি , পুলিশ সুপার ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন
পুলিশ পরিদর্শক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার সাবেক স্ত্রী জাসমিন আহমেদ বার কাউন্সিল অর্ডার এন্ড রুলস ১৯৭২ এর সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে এবং তার পরিবারকে চরমভাবে হয়রানি করে চলেছে। এটা মানবাধিকার ও সংবিধানের চরমলঙ্ঘন বলে মনে মনে করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ পরির্দশক আবু নকীব লিখিত অভিযোগে জানান, তার স্ত্রী এডভোকেট জাসমিন সংসারের প্রতি অমনোযোগি,সন্তান জন্মদানে অক্ষম এবং শারীরিক মিলনে অনাগ্রহী হওয়ায় ১৫ জানুয়ারী আইনগতভাবে সকল নিয়ম মেনে তাকে তালাক দেয়া হয়।
তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ গত ৪ মার্চ তার সাবেক স্বামী পুলিশ পরিদর্শক আবু নকীবের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবি ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। ১২ মার্চ একটি মামলা ১৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জ আদালতে আবু নকীব আসলে সেখানে তাকে আবারো মারধর করার অভিযোগে ২০ মার্চ আরেকটি মামলা দায়ের করে। এছাড়া ৯ এপ্রিল আরো একটি মামলা দায়ের করে। একই ব্যক্তি বিভিন্ন অভিযোগ সাজিয়ে পুলিশ পরিদর্শক এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে একের পর এক মামলা দায়ের করে।
গত ৩ জুলাই আদালত পুলিশ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করেন পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। গত ১৬জুলাই তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
জাসমিনের মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সন্তান জন্মদানে অক্ষম জেনেও স্বামী মোঃ নকীব স্ত্রী জাসমিন আহমেদের সাথে ২০০৭ সালের ১৪ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রী জাসমিনকে অত্যাচার করতে থাকেন স্বামী নকীব। একপর্যায়ে নিজের বিবাহ ও সংসার জীবন সুখে শান্তিতে কাটানোর জন্য স্বামী আবু নকীবকে ১২ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কার, ১টি মোটরসাইকেল এবং ঢাকায় জমি কেনার জন্য নগদ ৫০ লাখ টাকা দেন জাসমিন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিতে এসে জাসমিনকে মারধর করার অভিযোগ তুলেন তিনি।
তবে আবু নকীব এসব ঘটনা মিথ্যা বলে জানান। তার ভাষ্য হলো তিনি সুদানের মিশনে থাকা কালে জাসমিন তার একাউন্ট থেকে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। জাসমিন সন্তান জন্মদান করার অক্ষমতা ঢাকা জন্য আবু নকীবকে ২য় বিবাহ করার জন্য মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। তার কথা মতো নাজীয়া বেগমকে বিয়ে করলে পরবর্তীতে জাসমিন চাপ প্রয়োগ করে তাকে তালাক দিতে বাধ্য করে। এছাড়া দাড়ি কেটে ফেলা পিতামাতার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য বারবার আবু নকীবকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
তবে পুলিশ পরিদর্শক তার সাবেক স্ত্রী জাসামিনের বিরুদ্ধে গত ৩ এপ্রিল ফতুল্লা থানায় জিডি নং ১৪৫ এবং ৪ এপ্রিল পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । এছাড়া ৮ এপ্রিল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ পুরিদর্শক আবু নকীব তার জামিনের খবর ফেসবুকে দেয়ার পর সেখানে মাইকেল মধূ নামের একজন লিখেছেন,ইনভেষ্টিগেশনে বেরিয়ে এসেছে এপিপি এডভোকেট জাসমিনে ভাই সোহেল নারায়ণগঞ্জ কোর্টের মহুরী।তিনি প্রথম স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্তেও দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন । দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরেও সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে মানুষিক নির্যাতন করছেন। এবং দুই বৌ নিয়ে এক সাথে থাকছেন সোহেল। জাসমিনের চাচা নবী হোসেন ওরফে নুর এবং চাচাতো ভাই শিপন ১হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। ঐ মাদক মামলা এড জাসমিন নিজে পরিচালনা করেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন সরকার যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরোট্রলারেন্স সেখানে একজন এডিশনাল পিপি কিভাব মাদক মামলা পরিচালনা করেন। তাহলে কি তারই পৃষ্টপোষকতায় তার আত্মায়স্বজন মাদক ব্যবসা করার সাহস পায় ?।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!