বিশেষ প্রতিনিধি:বিয়ে করাটা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। আর এজন্য নিজেকে কখনও ব্যবসায়ী, কখনও রিপ্রেজেন্টেটিভ, কখনও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন। যদিও তার আসল পেশাই হচ্ছে বিয়ে করা! ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে টার্গেট মোতাবেক বিয়ে করার মাধ্যমে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়াটাই উদ্দেশ্যে এই প্রতারকের। কাবিন নামায় প্রতারক রাজীব মজুমদার কাঁিশপুর বাংলাবাজার ব্যাংক কলোনী এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে বলে পরিচয় দিলেও বাস্তাবিকতায় এ ঠিকানায় কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি প্রতারক পরিবারের। টার্গেটকৃত পরিবারের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর প্রতারক রাজীব মজুমদার এবং তার পরিবারের সদস্যরা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। এমনকি যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারগুলোও বন্ধ রয়েছে। এমনকি জাতীয় পরিচয় পত্রটিও জাল। এ ঘটনায় ভোক্তভোগী পরিবার বন্দর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছেন।
ভূক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ইস্পানী এলাকায় পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে বসবাস করতেন ভোক্তভোগী পরিবারের লোকজন। তাদের মেয়ে সরকারী তোলারাম কলেজ থেকে ২০১৯ সালে এইচ এস সি পরীক্ষায় উর্ত্তীন হন। এরই মধ্যে মুন্সিগঞ্জ এলাকার পূর্ব পরিচিত ঘটক শাহীনের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হলে পারিবারিক ভাবেই তাদের মেয়েকে প্রতারক রাজীব মজুমদারের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সপ্তাহখানেক পরই প্রতারক রাজীব মজুমদার ব্যবসার জন্য ৩লাখ টাকা দাবি করেন। মেয়ের দাম্পত্য জীবনের কথা চিন্তা করে ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা কোন কিছু যাচাই না করেই দাবিকৃত টাকা মেয়ের জামা রাজীব তালুকদারের হাতে তুলে দেন। এ সময় তাদের মেয়ে নিজ বাড়ীতেই অবস্থান করছিলেন। টাকা নেয়ার পরের দিন থেকেই প্রতারক রাজীব মজুমদারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি বিয়ের আগে বসবাস করা রাজীব মজুমদারের নিজ বাড়ীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বাড়ীটিও তাদের নয়। এমনকি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর থেকে রাজীব তালুকদারসহ তার মা অর্ন্যত্র পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কাবিন নামায় দেয়া জাতীয় পরিচয় পত্রটি যাচাই করলে দেখা যায় ভোটার আইডি কার্ডটিও ভূয়া। বর্তমানে এমন অবস্থায় ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অজানা আতংকে দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনানিপাত করছে। এই প্রতারক রাজীব তালুকদারের সন্ধান কেউ দিতে পারলে বন্দর থানা পুলিশের নিকট যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। প্রতারক রাজীব মজুমদারের সকল পরিচয়পত্র ভূয়া। আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক চেষ্টা করা হচ্ছে প্রতারক রাজীব তালুকদারকে সনাক্ত করার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন........