আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ ব্রাজিলকে হারিয়েই ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে কোপা জিতল মেসির আর্জেন্টিনা
শেষ বাঁশি বাজতেই আর্জেন্টিনা ফেটে পড়ল উল্লাসে। আনহেল ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারানো হয়ে গেছে, কোপা আমেরিকা জেতা হয়ে গেছে যে।
২৮ বছর, সেই ২৮ বছর আগে সর্বশেষ শিরোপাটা উঠেছিল আর্জেন্টিনার ঘরে। এরপর থেকে বছর আসে বছর যায়, আর্জেন্টিনার ট্রফিকেস পড়ে থাকে শূন্য। সে শূন্যতা কাটানোর মাহেন্দ্রক্ষণ অবশেষে হাজির। চলতি শতাব্দিতে প্রথম শিরোপা, যেটা আলবিসেলেস্তেদের সোনালি প্রজন্ম করে দেখাতে পারেনি সেটাই করলো লিওনেল স্ক্যালোনির প্রায় আনকোরা দলটা। আর্জেন্টিনার তো আজ আনন্দে-উল্লাসে ফেটে পড়ারই কথা!
একাদশে তার থাকা নিয়েই ছিল অনিশ্চয়তা। সেই ডি মারিয়াই ফাইনালে গোল করে এগিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনাকে।
একাদশে তার থাকা নিয়েই ছিল অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি আস্থা রাখেন তার ওপর। সেই ডি মারিয়াই ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে গোল করে এগিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনাকে। ফ্রান্সের বিপক্ষে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে পর জাতীয় দলের হয়ে গোল করলেন এই তারকা ফুটবলার।
খেলার তখন ২১ মিনিট চলছিল। এমন সময় ডি পলের কাছ থেকে বল পেয়ে যান ডি মারিয়া। এরপর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার লোদির ভুলে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। গোলরক্ষক এডারসনকেও ফাঁকি দেন দুর্দান্তভাবে। তার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
এই গোলের মাধ্যমে ফাইনালে আর্জেন্টিনার দীর্ঘদিনের ফাইনালে গোলখরা কাটালেন তিনি। ২০০৪ সালের কোপা আমেরিকায় চেসার দেলগাদোর পর প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার হিসেবে ফাইনালে গোল করলেন মারিয়া।
কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় আজ রোববার সকালে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ১-০ গোলে পরাজিত করেছে স্বাগতিক ব্রাজিলকে।
প্রথামার্ধে ডি মারিয়ার দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে থাকে আর্জেন্টিনা। ওই গোলই খেলার ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়। ২২ মিনিটে ডি পলের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক চিপ শটে ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসনকে পরাস্ত করে নিজ দলকে এগিয়ে দেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ২০০৪ সালে সিজার ডিলগাডোর পর ডি মারিয়া প্রথম আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় হিসেবে কোপা আমেরিকার ফাইনালে গোল করলেন।
খেলায় দু’দলই প্রায় সব তালে লড়াই করে। তবে সফল হয় আর্জেন্টিনাই। একটি গোল তো করেইছে। তারা প্রথমার্ধে ২-০-এ এগিয়ে যেতে পারত। ৩২ মিনিটে মেসির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
অন্য দিকে ২৫ গজের বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রি-কিক পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। ৩৪ মিনিটে নেইমারের ফ্রি-কিক দেয়ালে প্রতিহত হয়। ৪২ মিনিটের মাথায় এভার্টনের আক্রমণ প্রতিহত হয় আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজের দস্তানায়। ৪৪ মিনিটে নেইমারের কর্ণার থেকে বল ধরে আক্রমণ শানান রিচার্লিসন। যদিও তা মাঠের বাইরে চলে যায়।
ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার স্বপ্নের ফাইনাল শুরু হয়। দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর রেফারির বাঁশিতে শুরু হয় কোপা আমেরিকার ফাইনাল।
আর্জেন্টিনা দলে পরিবর্তন, সেমির দল নিয়েই নামে ব্রাজিল
কোপা আমেরিকার ফাইনাল শুরু হয়েছে। এই মহাযুদ্ধে অংশ নিচ্ছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচের জন্য আর্জেন্টনা দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে। তবে ব্রাজিল তাদের সেমিফাইনালের দল নিয়েই শুরু করে।
আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশ
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ডি’পল, মেসি, ওতামেন্দি, লো সেলসো, মার্টিনেজ এল, আকুনা, রোমেরো, মন্তিয়েল, পারেদেস ও ডি মারিয়া।
ব্রাজিলের প্রথম একাদশ
এডারসন, দানিলো, থিয়াগো সিলভা, মারকিনহোস, ক্যাসোমিরো, রিচার্লিসন, ফ্রেড, নেইমার, রেনান লোদি, লুকাস পাকুয়েতা ও এভার্টন।
প্রথম একাদশে পরিবর্তন
ব্রাজিল সেমিফাইনালের অপরিবর্তিত প্রথম একাদশে ফাইনালেও মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি তাদের বদলি ফুটবলারের তালিকাও অপরিবর্তিত থাকে। তবে আর্জেন্টিনা প্রথম একাদশে একসাথে পাঁচটি পরিবর্তন করে। রিজার্ভ বেঞ্চে পাঠানো হয় জেল্লা, গঞ্জালেজ, মলিনা, ট্যাগলিয়াফিকো ও রডরিগেজকে। প্রথম একাদশে ঢুকেছেন আকুনা, রোমেরো, মন্তিয়েল, পারেদেস ও ডি মারিয়া।
আর্জেন্টিনার বদলি ফুটবলার
আর্মানি, ট্যাগলিয়াফিকো, পেজেল্লা, মার্চেসিন, অগুয়েরো, পালাসিয়স, গঞ্জালেজ, রডরিগেজ, কোরেয়া, গোমেজ, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, মলিনা।
ব্রাজিলের বদলি ফুটবলার
অ্যালিসন, অ্যালেক্স সান্দ্রো, রিবেইরো, উইভার্টন, এমার্সন, মিলিতাও, ফ্যাবিনহো, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রবার্তো ফির্মিনো, বারবোসা, অর্টিজ, ডগলাস লুইজ।
আপনার মতামত লিখুন........