নারায়ণগঞ্জবুধবার , ১৭ আগস্ট ২০২২
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভাদ্র মাসের তাল পাকা গরমে বেতাল জনজীবন

Alokito Narayanganj24
আগস্ট ১৭, ২০২২ ৭:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মো. মনির হোসেনঃ গরমে তাল নিয়ে লেখাটা খুব একটা আনন্দদায়ক নয়, ব্যাপারটা একটু বেতালই বটে! আবার এই ভাদ্রের গরমেই পাকা তাল খেতে হয়, কী এক অদ্ভুত বৈপরীত্য! তবে বাঙালি প্রবাদে রয়েছে ভাদ্র মাসের গরমে তাল পাকে, গরম না হলে তাল পাকবে না, এটাই স্বাভাবিক, সে গরমটা হয় এই বাংলা ভাদ্র মাসে। চিটপিটে গরম, ভ্যাপসা গরম, যা-ই বলি না কেন প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত, চৈত্র্যের গরমে যারা জীবনের তাল ঠিক রেখেছেন তাদেরও ভাদ্র মাসের তাল পাকা গরমে বেতাল জনজীবন।
তবে তালগাছকে ঘিরে আবার মজার মজার কবিতাও লিখে গেছেন কবিরা, তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে । আকাশে উঁকি মারা তালগাছ প্রায় ৫০, ৬০ ফুটের মতো উঁচু হতে পারে। আর সে কারণেই বহুদুর থেকে সে তাল গাছ দেখে বলা যায় ওই দেখা যায় তালগাছ, ওই আমাদের গাঁ।
সারাদেশে যারা এই গরমে কাজে বের হন তারা ডাব খেয়ে ক্ষণিকের জন্য প্রাণ জুড়াতে পারেন না, ডাবের ঠান্ডা পানির দামে যেন আগুন লেগেছে, প্রতিটি ডাব ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, ভাদ্র মাসের শুরু থেকেই কখনো টানা, কখনোবা দু-এক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়, কখনো ঝিরিঝিরি মিষ্টি বাতাস বয়ে যায়, কখনো পড়ে ভ্যাপসা গরম। তবে ভাদ্রমাসের গরম প্রাচীন কাল থেকেই সুবিখ্যাত, এই গরমে মানুষ তো বটেই, কুকুর পর্যন্ত বেতাল হয়ে পড়ে, কুকুরের আচরণে বিরাট পরিবর্তন আসে, এ মাসে কুকুর সমাজের একটা বড় অংশই গরমে দিশেহারা হয়ে যায়, মানুষ সতর্ক হয়। গ্রামগঞ্জে এখনো কুকুর দেখে গরমের তীব্রতা অনুমান করা হয়, মাঝেমাঝে দেখা যায় কোনো জলাশয়ে কুকুর নেমে পড়লে ছেলেমেয়েরা সেই জলাশয়ে গোসল করতে নামতে ভয় পায়। তখন দুষ্ট বালক-বালিকার দল ঢিল ছুঁড়ে মেরে কুকুরটাকে দূরে সরাতে চেষ্টা করে, কিন্তু কুকুর অনমনীয়, নড়াচড়ার কোনো নামই নেয় না! ভাদ্রের গরম বলে কথা! ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি তাল হয় নারী গাছে, পুরুষ গাছে তাল ধরেনা সে গাছ থেকে শুধুই রস পাওয়া যায়, কাঁচা ও পাকা দুই অবস্থাতেই তাল সুরসাদু খাবার, তালের ফল এবং বীজ দুইই বাঙ্গালি খাদ্য, ভাদ্র মাসে পাকা তালের বড়া একটি অত্যন্ত সুরসাদু খাবার, কচি তাল কচি ডাবের মতোই সুরসাদু, জ্যৈষ্ঠের খরতাপে এই কচি তাল শাষ তৃষ্ণা নিবারণ তো করেই, এ ছাড়াও তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে দেহ রাখে ক্লান্তিহীন। ডাবের পানির মতোই এটি প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়, পুষ্টিবিদদের মতে, ডাবের পানি এবং তালের শাঁসের গুণাগুণ একই রকমের, ডাবের পানির পুরোটাই তরল, অন্যদিকে তালের শাঁসে কিছুটা শক্ত অংশ থাকে। এছাড়াও পাকা তালের রসের সঙ্গে চালের গুঁড়া আর গমের আটা মিশিয়ে বানানো হয় তালের বড়া, চালের গুঁড়া মিশিয়ে বানানো হয় পিঠা, দুধের সঙ্গে তালের রস মিশিয়ে বানানো হয় তালক্ষীর।
এ ছাড়া তালের সরু চাকলি তাওয়ার ওপর রেখে বানানো হলদে সাদা রঙের ফিনফিনে দোসা ক্ষীরে ডুবিয়েই যা খাওয়ার নিয়ম, এই আধুনিক যুগে রন্ধন পটীয়সীরা তৈরি করে থাকেন কলাপাতায় তালপিঠা, তাল থেকে মিছরিও তৈরি হয়, এছাড়া তালের স্পঞ্জ কেকসহ নানান পদের মুখরোচক খাবার, তাল দিয়ে তৈরি হয় বাহারি খারার, তাই বলি, স্বাদে-গন্ধে বেতাল করে তোলা এই ভাদ্র মাস হোক তালময়।
Enter

Munir

Open photo
নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!