নারায়ণগঞ্জমঙ্গলবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মামলার জটিলতা নেই ফতুল্লা ইউনিয়নে কে হবেন নৌকার মাঝি ?

Alokito Narayanganj24
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১ ৭:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মো. মনির হোসেনঃ নারায়ণগঞ্জ সদরের ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রায় তিন দশক পর হওয়ার সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। মামলার জটিলতা নেই, আর তাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিলে ফতুল্লা ইউনিয়ন বাসীর মাঝে স্থানীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অনেকটাই বেশী। সর্বক্ষেত্রেই ভোটের হাওয়া বইছে। তবে অনেকটাই একপক্ষীয়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাড়া অন্যদের ভোটে তেমন আগ্রহ নেই। নৌকা প্রতিক পেতে ফতুল্লা ইউনিয়নে চার শীর্ষ নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। নৌকার প্রতিক পেতে এই চার শীর্ষ নেতার মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।

সম্প্রতি বিএনপি এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় শাসক দলের নেতারা মনোনয়নকেই ভোটে জেতার নিশ্চয়তা মনে করচ্ছে। তাই নির্বাচনের মাঠে ভোটের চেয়ে বেশি লড়াই নৌকা পেতে। তবে কে হবেন নৌকার মাঝি তা অনেকটাই নির্ভর করছে স্থানীয় এম পি শামীম ওসমানের উপর।

চার নেতার মধ্যে সবচাইতে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন ফতুল্লা ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন। ১৯৯৩ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে প্রয়াত চেয়ারম্যান নূর হোসেন নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি মারা গেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে লুৎফর রহমান স্বপন দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এবার তিনি নির্বাচন করবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ হিসেবে স্থানীয়রা জানায় জুম্মা নামাজের সময় তিনি ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নিজ অসুস্থতার কথা জানিয়ে আগামী ইউপি নির্বাচনে যোগ্য নেতা মনোনিত করার আহবান জানান। তবে তার এই ঘোষণাকে কেউ কেউ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের কৌশল মনে করছেন। সাধারণ মানুষের সহানুভূতি বা সাধারন ভোটারদের কাছে টানার জন্য তিনি এ কৌশল অবলম্বন করেছেন।

অপরদিকে তার এই ঘোষণার পর নতুন হিসেব শুরু করেছেন কেউ কেউ। যাই হউক না কেনো খুব সহজেই যে নৌকা প্রতিক পেয়ে তিনি নির্বাচন করবেন তা কিন্তু নয়। নৌকা প্রতিক নির্বাচন করার আশায় ইতোমধ্যেই সরকারের উপরে মহলে লবিং শুরু করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানার যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী। তার সমর্থকরাও তার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ব্যানার ফেস্টুন করে প্রচারনা শুরু করে দিয়েছেন।

ফতুল্লা থানা আওামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটনও নৌকা প্রতিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছেন। তার সমর্থকরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্যানার, ফেস্টুন করে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ডেউ চলাকালীন সময়ে তিনি অসহায় এবং কর্মহীন মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন লিটন। নিজস্ব অর্থায়নে তিনি কয়েক হাজার মানুষকে নানা ভাবে সহায়তা করেছেন । এছাড়াও এলাকার মানুষের বিপদ-আপদে পাশে থাকছেন সব সময়।

ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম ও নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য লবিং করছেন। তবে মীর সোহেল বা ফরিদ আহম্মেদ লিটনের মতো প্রচারনা নেই তার।

ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল হকের সমর্থকরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্যানার, ফেস্টুন করে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

তথ্য মতে, সর্বশেষ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছিলো ১৯৯২ সালের ৫ ফেব্রæয়ারী। সেই নির্বাচনের পর থেকে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আর হয়নি। যে কারণে স্থানীয় এলাকাবাসিকে বিভিন্ন সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি হিসেবে একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদবাসি তাদের পছন্দের একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারছেন না দীর্ঘদিন যাবৎ। ফতুল্লা ইউনিয়র পরিষদের নির্বাচনটি সীমানা প্রাচীরের মামলার কারনে বহু বছর যাবৎ বন্ধের ফলে স্থানীয় এলাকার ভোটারগণ বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের ভোটাধিকার থেকে। ১৯৯৪ সালে সীমানা নিয়ে সমস্যা হলে কদর আলী নামক এক ব্যাক্তি ১৯৯৬ সালে মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ উচ্চ আদালত সীমানা প্রাচীর নির্ধারনের মামলাটি খারিজ করে দেয়।

এছাড়া হানিফ মাতবর নামক অপর এক ব্যক্তি ২০০২ সালে আদালতে একটি রিট পিটিশন মামলা দায়ের করেন। পিটিশন মামলাটি খারিজ হয় ২০১৬ সালে। মামলার খারিজ কোর্ট অর্ডার হয় ২০১৬ সালের ২২ মার্চ এবং অফিস অর্ডার হয় আগষ্ট মাসের ৮ তারিখ। ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদবাসী ১৯৯২ সালের ৫ ফেব্রæয়ারীর নির্বাচনের পর অদ্যাবধি কোন নির্বাচনী আমেজ পায়নি। তাই সরকার কর্তৃক স্থানীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ফতুল্লাবাসীর মাঝে দেখা গেছে ভিন্ন আমেজ।

আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বিএনপির কোন প্রার্থীর নাম এখনো শোনা যাচ্ছেনা। তবে সরকারদলীয় আওয়ামীলীগের অনেকেই নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনের আশা প্রকাশ করলে ও সরকারদলীয় প্রভাবশালী শীর্ষ স্থানীয় পাঁচ নেতার মধ্যেই মূল লড়াই হচ্ছে। তবে প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও স্থানীয় সাংসদের আশীর্বাদ পেতে ইতোমধ্যেই জোড় লবিং শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার নিজ সমর্থকদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!