নারায়ণগঞ্জরবিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

Alokito Narayanganj24
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ ৫:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় ষষ্ঠ দফায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দুজন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি মশিয়ার রহমানের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। আদালত ৩ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

সাক্ষ্যদাতারা হলেন- সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক তবিদুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাকিবুল ইসলাম উজ্জল। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এই মামলার চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৪০ জন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আজ মামুনুল হকের বিপরীতে দুজন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সাক্ষীরা আমাদের প্রশ্নে এলোমেলো উত্তর দিয়েছেন। তাদের সাক্ষ্যতেই প্রমাণ হয় মাওলানা হক নির্দোষ।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে। সাক্ষীরা বলেছেন মামুনুল হক এ ধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছিল মামুনুল হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার নারায়ণগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে জেলা কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুলকে।আদালত সূত্র বলছে, গত ১৭ জুলাই মামুনুল হকের বিরুদ্ধে পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন চার্জশিটের ১১ নম্বর সাক্ষী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি ও ১২ নম্বর সাক্ষী রতন মিয়া। ৯ মে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন চার্জশিটের ৯ ও ১০ নম্বর সাক্ষী যথাক্রমে নাজমুল হাসান শান্ত ও মো. শফিকুল ইসলাম। ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, রিসোর্টের আনসার গার্ড ইসমাঈল ও রিসিপশন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় মামুনুলের বিরুদ্ধে রয়েল রিসোর্টের সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ, রিসিপশন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম অনিক ও আনসার গার্ড রতন বড়াল সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একইসঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!