আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:“মা” দিবস নিয়ে এক আলগা দরদের হিড়িক চলছে ফেসবুক জুড়ে। বাস্তবে মায়ের খুঁজ রাখেন বা না রাখেন, ফেসবুকে মায়ের ছবিসহ একটা জটিল লিখা চাই। এতো দরদী সন্তানদের তো শুক্রবার ছাড়া খুব বেশী মসজিদের বারান্দায় দেখা যায় না। “মা” কত বছর ধরে মারা গেছেন সেই হিসাবও মনে নেই!! নাকি দোয়া চাওয়াটা শুধুই ফেসবুকের নীতি নির্ধারকদের কাছে!! মায়ের ইচ্ছাপূরণ তো দূরের কথা, মায়ের সাথে বসে কথা বলার সময়ও তারা কখনো কখনো পান না। তাছাড়া “মা” এক মাসে যে বয়স্কভাতা পান; সু-সন্তানেরা প্রতিদিন তারচেয়ে বেশী টাকা পান/সিগারেট/চা খেয়ে ব্যয় করেন! অথচ “মা” এই বয়স্কভাতার জন্য অসুস্থ শরীরে কতই না কষ্ট করেন! অথচ সুসন্তান তখন তার প্রেমিকার সাথে দামী রেস্টুরেন্টে বাহারি খাবারে ব্যস্ত! যুক্তি দেখায় বয়স্কভাতা পাওয়া নাকি বৃদ্ধ মায়ের নাগরিক অধিকার! আবার কিছু মা প্রেমী সন্তান আছে, যারা গর্ভধারনী মাকে “মা” না ডেকে রাজনৈতিক “মা” বানায় অথবা তেলবাজী করতে কাউকে কাউকে “মা” ডেকে থাকে।
মায়ের জন্য দরদ তো থাকতেই হবে। যার মধ্যে মায়ের প্রতি মহব্বত নাই, সে মানুষ-ই না। তাই বলে বাস্তবে দরদী না হয়ে ফেসবুকে আলগা দরদ দেখাবেন! এটা হতেই পারে না। এটা আরেকটা প্রতারণা।
মায়ের ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করার আগে দয়া করে উনার অনুমতি নিবেন; খুড়া যুক্তি দেখিয়ে মাকে রাজী করবেন না। যদি মা স্বেচ্ছায় রাজী হন সেক্ষেত্রে তো আমার কোন আপত্তি নাই (আমার লিখাটা তাদের জন্য না)। তবে সব মা কিন্তু সহজে রাজী হবেন না বলেই আমার বিশ্বাস। ভালো থাকুক প্রতিটি সন্তানের মা।
লেখক:আশরাফুল হক আশু
সদস্য,ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব
সাধারণ সম্পাদক চেঞ্জ ফাউন্ডেশন।
আপনার মতামত লিখুন........