নারায়ণগঞ্জরবিবার , ২০ অক্টোবর ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

মেডিপ্লাস জেনারেল হাসপাতালে রোগীর পায়ুপথ কেটে ফেলার অভিযোগ

Alokito Narayanganj24
অক্টোবর ২০, ২০১৯ ৫:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে মেডিপ্লাস জেনারেল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিস্ট ও সার্জন ডা. কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে জরায়ুর অপারেশন করতে গিয়ে রোগীর পায়ুপথ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে ভুল চিকিৎসার শিকার রোগীর প্রতি অবহেলারও অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কের পাশে কালিরবাজারে অবস্থিত মেডিপ্লাস মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রোগী ডালিয়া বেগম (৪০) বন্দর উপজেলার লেজার্স এলাকার মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী।

রোগীর মা নূরজাত বেগম বলেন, কিছুদিন আগে জরায়ুর সমস্যা নিয়ে ডা. কামরুন নাহারের কাছে আসি। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিনি রোগীর জরায়ুতে সমস্যা আছে জানিয়ে অপারেশন করতে বলেন। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে অপারেশন করতে রাজি হন তিনি। শনিবার সকাল ৯টায় হাসপাতালে আসতে বললে আমরা যথা সময়ে চলে আসি। পরে দেড়টার দিকে অপারেশন শুরু হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা চলে গেলেও অপারেশন শেষ হয় না। রোগীর কী অবস্থা সে বিষয়েও কিছু বলেন না।

বার বার প্রেসক্রিপশন দিয়ে বিভিন্ন ওষুধ আনতে বলেন। কয়েকবার ওষুধ আনার পর ফার্মেসির লোকেরা বলে যে আপনারা তো জরায়ুর অপারেশন করতে এসেছেন, এই ওষুধ তো পায়ুপথের জন্য। এগুলো দিয়ে কী করবেন? তখন আমাদের সন্দেহ হলে আমরা চিৎকার শুরু করি। এরপর তারা ভুল চিকিৎসার কথা স্বীকার করেন। পরে অপর এক ডাক্তারকে এনে অপারেশন করান।

ডাক্তার এসএম ইফতেখার উদ্দীন সাগর বলেন, আমি অন্য একটি রোগী দেখার জন্য এখানে এসেছিলাম। এখানে এসে এই ঘটনা শুনতে পারি। পরে আমাকে ওই রোগীর পায়ুপথে অপারেশনের কথা বললে আমি করে দেই। আমি এর বেশি কিছু জানি না।

মেডিপ্লাস জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার বলেন, এই রোগী ডাক্তার কামরুন নাহারের। তিনিই এখানে পাঠিয়েছেন। অপারেশনের সময় ডা. কামরুন নাহার আমাকে বলেন যে একটা ক্রিটিক্যাল সমস্যা হয়েছে, একজন সার্জন ডাকতে হবে। আমরা একজনকে ডাকি। অপারেশনের সময় মলদ্বার কেটে ফেলেছেন বলে রোগীর স্বজনদের বলে গেছেন ওই ডাক্তার। এখন ঠিক হতে একমাস সময় লাগবে। তবে এই ঘটনার পর বেশ কয়েকবার ফোন করে বলার পরও ডা. কামরুন নাহার রোগীর কোনো খোঁজ নিতে আসেননি।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই রিপন আলি খান বলেন, ভুল চিকিৎসার খবর পেয়ে এখানে এসেছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তবে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!