নারায়ণগঞ্জবৃহস্পতিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

রাজপথ কাপাঁনো নেতৃত্বের অভাবে ভোগছে বিএনপি!

Alokito Narayanganj24
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০ ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জ বিএনপির এক সময়ে রাজপথ কাঁপানো নেতারাও বর্তমানে নিশ্চুপ রয়েছেন। হামলা-মামলাকে ভয় না পেয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালনে রাজপথে নামবে এমন নেতা খোঁজে পাওয়া রীতিমত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বেশ কয়েকজন নেতা সাহস দেখিয়ে রাজপতে নামলেও তারাও রাজনীতিতে ইউটার্ন দিয়েছেন। তাই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে সাহসী নেতার বড় অভাব দেখা দিয়েছে। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামের সময়ে যে সমস্ত নেতা সাহস নিয়ে রাজনীতির মাঠে অবস্থান নিয়ে দলীয় কর্মকান্ডের দিক নিদের্শনা দিতেন দলের মধ্যে তেমন সাহসী নেতা এখন নেই বল্লেই চলে। বর্তমানে যারা রয়েছে এদের মধ্যে গুটি কয়েক নেতা রাজপথে সক্রিয় হতে চাইলে জুলুম নির্যাত ও প্রাণ ভয়ে রাজপথে নামতে সাহস পাচ্ছে না। যে কারণে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতি ধীরে ধীরে তাদের জৌলস হারাতে বসেছে। যে কারনে বিএনপির রাজনীতি অনেকটা হুংকার আর ফটো সেশনেই সীমাবদ্ধ থাকছে। নির্বাচনের পর বিএনপির প্রথম কেন্দ্রীয় কর্মসূচীতে মহানগর বিএনপির নেতারা ফটোসেশন করলেও জেলা বিএনপির কোন অস্তিত্ব রাজপতে দেখা যায়নি। বিগত সময়ে দলের কোন কর্মসূচী আসলে ফটোসেশন আর দলের কারো বিরুদ্ধে কোন মামলা কিংবা হামলার ঘটনা ঘটলে হুংকার দিয়েই দলের দায়িত্বশীর নেতারা নিজেদের দায়িত্ব শেষ করতে। আর এ কারণেই দলের দু:সময়ে দলের জন্য কিছু করতে পারছেন না জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর ফলে জেলা ও মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ও সাহসীকতা নিয়ে রাজনীতির মাঠে আলোচনার ঝড় ওঠে। আর বর্তমান অবস্থা চলমান থাকলে জামাতের মতও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না। একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের নীরব ভূমিকার কারণে পাঁচটি আসনেই ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনের সময় নেতরা রাজপথে না নেমে স্থানীয় গনমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নিজেদের দায় সেরেছেন। নির্বাচনের পরও একই ভাবে রাজনীতি করছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। তবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও ফটোসেশনের রাজনীতি প্রথম শুরু করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার ও তার ভাই খোরশেদ। যা এখন বিএনপির রাপনীতিতে নিয়মে পরিনত হয়েছে। অলি-গলি অথবা বন্ধ রুমে ভাড়া করা লোকদের নিয়ে ফটোসেশনের মধ্যদিয়ে জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। রাজপথে না থেকে তারা এখন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকেয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। তবে এ ধরনের রাজনীতি থেকে বিএনপিকে সরিয়ে আনতে হলে সাহসী ও দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।

সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দলীয় কর্মকান্ড এবং দলের বেশ কিছু নেতারা ভূমিকা প্রশ্ন বিদ্ধ ছিলো অনেক আগে থেকেই। এ নিয়ে জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতাকে নিয়ে নানা সময়ে সমালোচনার ঝড় উঠতে দেখা গেছে। এছাড়া অনেক নেতা দলের মধ্যে নিজের অস্তিত্ব ও আধিপত্য বিস্তারে নানা কৌশল অবলম্বন করে একাধিক বার সংবাদ শিরোনামে পরিনত হয়েছে। কিছু কিছু নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে স্বেচ্চাচারিতার অভিযোগও। আর দলের ক্রান্তিকাল সময়েও এসব কারণে দলের ভেতরে যেমন বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি নানা কোন্দলের জর্জড়িত হয়ে অনেক ও কর্মীরা রাজনীতির ময়দান ত্যাগ করে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে দেখা গেছে। এসব সাবির্ক বিষয়ের কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি তাদের পূর্বের জৌলস হারিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। এদিকে, বর্তমান সময়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনে সাহসী নেতার চরম অভাব রয়েছে। আগে যারা রাজনীতির মাঠে বীরদর্পে বিচরন করতেন বিএনপির বর্তমান রাজনীতিতে সে সমস্ত সাহসী নেতার অনেক অভাব রয়েছে। আর এ কারণে দলের দু:সময়ে রাজপথ বিএনপিবিহীন পরে আছে। বর্তমান অবস্থায় মনে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের কাছে রাজপথ বন্ধক দিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা নির্বাসনে জীবন যাপন করছে। যে কারনে জেলা বিএনপির রাজনীতি ফটোসেশন ও হুংকারেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!