আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জে সানজিদা আক্তার (৮) নামে ৩য় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন চাচা ও তাদের পরিবারের লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের পিতা। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের হাটাব দক্ষিণপাড়া এলাকায় ঘটে এ মর্মান্তিক ঘটনা।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার এসআই নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, মঙ্গলবার দুপুরে হাটাব দক্ষিণপাড়া এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের মেজো মেয়ে স্থানীয় উদয়ন কিন্ডার গার্টেনের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার তার বাবার কাছে বায়না করেন একটি জামা কিনে দেবার জন্য। জামা কিনতে ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী বিলকিছ বেগম শিক্ষার্থীকে বাসায় রেছে ভুলতা গাউছিয়া মার্কেটে যায়। সেখানে গিয়ে মোবাইলে তাদের সাথে সানজিদার একবার কথা হয়। পরবর্তিতে বিকেলে তার বাবা ফোন করে আর তাকে পায়নি। পরে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি এসে দেখেন ভিতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ ও পিছনের দরজা খোলা। এ সময় জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন সানজিদার লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে রয়েছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, নিহত শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়ে। তবে ময়না তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান এসআই সিদ্দিকী। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই আয়নাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে নিহতের পিতা বিল্লাল হোসেন জানান, তার সাথে তার ভাই নুরুল হক, আয়নাল, ভাবী সালেহা বেগমকের সাথে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। তারাই আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মাহামুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আপনার মতামত লিখুন........